প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হলদিয়ার জনসভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হলদিয়ার সভা থেকে তিনি জানালেন, মেদিনীপুরের এই পবিত্র মাটিতে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন তিনি। ক্ষুদিরাম বসুর রক্তে রঞ্জিত হয়েছে এই বাংলা। একসময় তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার তৈরি হয়েছিল এই মাটিতেই। আবার, এই মাটির সন্তান ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বর্ণপরিচয় দিয়েছিলেন বাংলার মানুষকে। এ বছর স্বাধীনতার ৭৫ তম বছর। এই সময় এখানে আসার অর্থ হলো, নিজেকে নতুন করে উজ্জীবিত করা,জানালেন প্রধানমন্ত্রী।

এরপর একাধিক ইস্যুতে একহাত নিলেন তিনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, কংগ্রেসের আমলে দুর্নীতি ছিল, বাম সরকারের আমলে উন্নয়ন থমকে গিয়েছিল। একারণেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে পরিবর্তনের ওপর ভরসা করেছিলেন অনেক মানুষ। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০ বছরের শাসনকালে শুধুই এসেছে নির্মমতা। তিনি অভিযোগ করলেন, বাংলার পরিবর্তন হয়নি, বাম শাসনের পুনরুজ্জীবন ঘটেছে। বাংলায় শুধু হিংসা, অপরাধের পুনরুজ্জীবন ঘটেছে।

প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, একসময় শিক্ষাক্ষেত্রে দিশা দেখাত বাংলা। তিনি প্রশ্ন করেছেন, বাংলার উন্নয়নের গতিধারা কেন থমকে গেছে? তিনি জানালেন যে, উন্নয়নের ধারা যদি বজায় থাকত, তবে বাংলার ছবি আজ বদলে যেত। তিনি প্রশ্ন করেন যে, এতটা কেন পিছিয়ে পড়েছে বাংলা? প্রধানমন্ত্রী জানালেন, বাংলার মানুষ তাই এখন পরিবর্তন চাইছেন। তিনি জানালেন, রাজ্যের সড়ক যোগাযোগে বিরাট পরিবর্তন আসতে চলেছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে চা বাগানের শ্রমিকদের প্রচুর উন্নতি হবে।

প্রধানমন্ত্রী জানালেন, কেন্দ্র সরকার পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য বিনা পয়সায় রেশন দেয়ার ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয় নি। রাজ্যের কৃষকদের জন্য, দারিদ্র মানুষদের জন্য ৪ কোটি জনধন অ্যাকাউন্ট কেন্দ্রের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছিল। সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে অ্যাকাউন্ট খুলতে সাহায্য করেছিল কেন্দ্র। তিনি অভিযোগ করেছেন করোনা সংক্রমণ কালে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা হাজার হাজার কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

এরপর মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন করেছে তৃণমূল সরকার। দুর্যোগের সময় দুর্নীতিতে জড়িয়েছে তৃণমূল সরকার। আম্ফানের ত্রাণ নিয়েও দুর্নীতি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি জানালেন যে, ভারতমাতার স্লোগান শুনেও রেগে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে দিদি বলে সম্বোধন করে তিনি জানালেন যে, তাঁকে উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি রেগে যান। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে, অথচ মুখ্যমন্ত্রী কেন চুপ করে বসে আছেন? তিনি জানান, সব ধরনের ষড়যন্ত্রের কড়া জবাব দেওয়া হবে।