প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ রাজ্য সভায় বিশেষ বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী তাঁর এই বক্তব্যতে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তেমনি কৃষি আইনের বিরোধিতা জন্য কটাক্ষ করেন একাধিক বিরোধীদলকে। তিনি অভিযোগ করেন, বাংলার রাজনীতি নিয়ে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের সরাসরি নাম নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তিনি অভিযোগ করেন, রাজনীতির কারণেই পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা কিষান সম্মান নিধির সাহায্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন যে, বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাংলায় কার্যকর করতে দেয়া হয়নি। তিনি অভিযোগ করেছেন রাজনীতির কারণেই একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাজ্যের মানুষেরা। বিরোধীদের কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, বিরোধিতা করার জন্য বহু বিষয় রয়েছে, কিন্তু বিরোধীরা দেশের সাফল্য, দেশের গর্ব নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করেছেন। এর ফলে দেশবাসীর মনোবল ভেঙে যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বিরোধী রাজনীতিবিদেরা দেশের ভালো নিয়ে চিন্তা করেন না। তাঁরা বারবার চেষ্টা করেন কেন্দ্রীয় সরকারকে অকর্মণ্য দেখাতে।

প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, কৃষকদের বিক্ষোভ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। আন্দোলন কিভাবে হচ্ছে? আন্দোলন কেন তীব্র হচ্ছে? এসব নিয়েও যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের মূল কারণ কি? তা নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি। প্রধানমন্ত্রী জানান যে, দেশের ১২ কোটি কৃষক হলেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক। এই কৃষকেরা সমস্ত রকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত আছেন। এদের জন্যই কৃষিতে সংস্কারের প্রয়োজন ছিল। যার জন্যই এই আইন এনেছে কেন্দ্র।

প্রধানমন্ত্রী জানান, সবুজ বিপ্লবের সময়ও যথেষ্ট বিক্ষোভ দেখা দিয়েছিল দেশে। দেশে এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল যে, তখন কেউ কৃষিমন্ত্রী হতেই রাজি হচ্ছিলেন না। সেসময় লাল বাহাদুর শাস্ত্রীকে আমেরিকার এজেন্ট বলে কটাক্ষ করেছিলেন বাম নেতারা। কিন্তু সবুজ বিপ্লব হয়েছিল, আজ যার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। দেশের কৃষিতে কিছু সমস্যা আছে, সেই সমস্ত সমস্যা দূর করতে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসাথে একহাত নিলেন তিনি বিরোধীদের।