প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছুদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বন মন্ত্রী। কিছুদিন আগেই ফেসবুক লাইভে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আজ তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠালেন তিনি মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন তিনি। তাঁর হাতে তিনি পদত্যাগপত্র দিলেন।

এরপর ট্যুইট করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর জানিয়েছেন যে, তাঁর পদত্যাগপত্র তিনি গ্রহণ করেছেন। তবে এখনো তিনি দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ও বিধায়ক পদ ছেড়ে দেননি। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে গিয়ে নিজের ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তার একটি কপি রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে তিনি জমা দিয়েছেন। রাজ্যপাল তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন ও নিজের হাতে ইস্তফা পত্র গ্রহণ করেছেন।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন, তাঁকে দীর্ঘদিন মন্ত্রী হিসেবে কাজ করতে দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন তিনি। জানালেন, তিনি কি কাজ করেছেন? মানুষ তার বিচার করবে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি চির কৃতজ্ঞ থাকবেন। তিনি জানালেন তার জীবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান কখনোই অস্বীকার করা যাবে না। এ কারণেই তাঁর কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন তিনি।

তিনি জানালেন যে, তাঁর মনের যথেষ্ট ক্ষোভ চাপা ছিল। আড়াই বছর আগে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন। মানুষের মধ্যে কাজের মাধ্যমে যদি কেউ ছাপ ফেলে রেখে যায়, সেটাই হলো বড় ব্যাপার। কেউ চিরকাল এক দপ্তরের মন্ত্রী থাকেন না। শেষ বেলায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সৌজন্যের আশা করেছিলেন। সতীর্থের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আশা করেছিলেন। এভাবেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। তাঁর এই পদক্ষেপ দলকে তীব্র অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। তবে, এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, বট গাছ থেকে একটি পাতা ঝরে গেলে তাতে গাছের কোন ক্ষতি হয় না।