প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  গত ২০২০ সালের ৩ রা জানুয়ারি নৈহাটিতে হটাৎ এক বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সে বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল ভয়াবহ। বিস্ফোরণের তীব্রতা গঙ্গার ওপারে হুগলির চুঁচুড়াতেও পৌঁছে যায়। সেখানে বেশকিছু বাড়ির কাচ ভেঙে যায়। এমনকি কিছু বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয় পাঁচজনের। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের তিন উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করল এনআইএ।

বিস্ফোরণের পর দাবি করা হয়েছিল যে, গঙ্গার পাড়ে বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছিল জনবহুল এলাকায় কেন পুলিশ বাজি নিষ্ক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল? সেখানে এতো পরিমানে বাজিই বা এলো কি করে? এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ এনআইএর। নিজের কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে চৈতালি চক্রবর্তী, মনোজ ভার্মা, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা শিল্প অধিকারিক প্রণব নস্করের বিরুদ্ধে।

এই তিন জন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এনআইএ সুপারিশ করেছে রাজ্যকে। এনআইএর ডিজি ওয়াইসি মোদী রাজ্যের মুখ্য সচিব ও ডিজির কাছে সুপারিশ পত্র পাঠিয়েছেন। চিঠিতে জানানো হয়েছে যে, যারা বেআইনি কারখানা চালায়, তাদের জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগসাজস রয়েছে। এই কারণে এই তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ করা হয়েছে। চিঠিতে জানানো হয়েছে যে, সেদিন যে ঘটনা ঘটেছিল তা যথেষ্ট বড় ঘটনা ছিল।

এনআইএর এই চিঠি পাওয়ার পর রাজ্য এখন কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে? সেদিকে দৃষ্টি সকলের। তবে, এই তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে কিনা, তা সম্পূর্ণ রাজ্যের ইচ্ছাধীন। কারণ, এটি সম্পূর্ণ রাজ্যের এক্তিয়ারে। তবে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে এনআইএর এই চিঠি প্রশাসনের যে অস্বস্তি যথেষ্ট বাড়িয়ে দিলো, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এই চিঠির ফলে বিরোধীরা একটি বড় অস্ত্র হাতে পেয়ে গেল, বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি।