এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > Breaking: রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট! প্রতিবাদের নামে নজিরবিহীন পদক্ষেপ বিরোধীদের, দেশজুড়ে ঝড়

Breaking: রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট! প্রতিবাদের নামে নজিরবিহীন পদক্ষেপ বিরোধীদের, দেশজুড়ে ঝড়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশজুড়ে কৃষক আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের বিক্ষোভ এখন চরম আকার ধারণ করেছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের আন্দোলন রীতিমত ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছিল। আর এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা সেই কৃষক আইনের জন্য কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে এবার কৃষক আইন বাতিলের দাবিতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিল বিরোধীরা।

জানা গেছে, আগামীকাল সংসদে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ বয়কট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ 16 টি বিরোধী রাজনৈতিক দল। স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধীদের এই ধরনের পদক্ষেপ যে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপিকে যে যথেষ্ট চাপে ফেলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামীকাল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ দিয়ে সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। যেখানে আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করা হবে। কিন্তু তার আগেই বিরোধীদের এই ধরনের উদ্যোগ রীতিমত চাপে ফেলে দিল দেশের শাসকদলকে বলে দাবি করছেন একাংশ। অনেকে বলছেন, সামনেই একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ।

সেদিক থেকে তৃণমূল, কংগ্রেস সহ অন্যান্য 16 টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের এইভাবে সমবেত প্রতিবাদ এবং রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যার মধ্যে দিয়ে বিরোধীরা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে যেমন চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করবে, ঠিক তেমনই কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই একাধিকবার কেন্দ্রের কাছে এই আইন বাতিলের দাবিতে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। আর লোকসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করার উদ্যোগ নেওয়া হল, তাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।

কিন্তু কী কারণে এই উদ্যোগ নেওয়া হল? বিরোধীদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীদের বক্তব্য এবং পরামর্শ না শুনেই সংখ্যার জোরে একতরফা এই কৃষি আইন পাশ করিয়েছে। যার ফলে এখন গোটা দেশজুড়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। তাই এর জন্য বিজেপি সরকার দায়ী। এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা গোলাম নবি আজাদ বলেন, “16 টি বিরোধীদল যৌথভাবে রাষ্টপতির ভাষন বয়কট করে প্রতিবাদ জানাবে। আমাদের সকলের দাবি, প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দিল্লিতে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তার নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। কারা এই তাণ্ডব চালিয়ে কৃষক আন্দোলনকে বদনাম করতে চাইল এবং কাদের উদ্দেশ্য পূরণ হল, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চাই।”

অর্থ্যাৎ বলাই যায় যে, কৃষক আইনকে কেন্দ্র করে মোদি সরকারকে চাপে রাখতে এই প্রতিবাদ বিরোধীদের আবার এক ছাতার তলায় এনে দেওয়ার চেষ্টা করল। যার মধ্যে দিয়ে বিজেপি সংসদ শুরুর প্রথম দিনেই যথেষ্ট চাপের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিরোধীদের এই সমবেত প্রতিবাদে কৃষি আইনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সুর নরম করার কোনো প্রয়াস দেখা যায় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!