এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ব্রিগেড হেভিওয়েট নেতার ভাষণে অস্বস্তি বাড়ালো তৃণমূলের, ড্যামেজ কন্ট্রোলে ডেরেক

ব্রিগেড হেভিওয়েট নেতার ভাষণে অস্বস্তি বাড়ালো তৃণমূলের, ড্যামেজ কন্ট্রোলে ডেরেক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাবিত ১৯’এর ব্রিগেড সমাবেশ এক কথায় ছিল চাঁদের হাট। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তাবড় তাবড় রাজনৈতিক হেভিওয়েটরা ব্রিগেড জনসভার মঞ্চের শোভা বাড়িয়েছিলেন এদিন। চন্দ্রবাবু নাইডু,ফারুক আবদুল্লা,যশবন্ত সিনহা,দেবেগৌড়ার মতো বর্ষীয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যেমন উপস্থিত ছিলেন তেমনই ছিলেন হার্দিক প্যাটেল,অরুণ শৌরি,অখিলেশ যাদবের মতো তরুণ তুর্কি নেতারাও।

ব্রিগেড প্যারেডের মঞ্চে যেন এক টুকরো ভারত উঠে এসেছিল আজ। প্রস্তুতিতে কোনো খামতি রাখেননি বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবু মঞ্চে এদিন এমন একটা ঘটনা ঘটে গেল যা রীতিমতো অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। রাফাল-বোফর্স গুলিয়ে মোদী বিরোধী মহাজোটকে অস্বস্তিতে ফেলে দিল এলজেডি নেতা শরদ যাদব। শেষে ত্রাতার ভূমিকা নিতে হয়েছিল তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে।

এদিন মঞ্চে উপস্থিত বিজেপি বিরোধী নেতাদের সকলের মুখেই ছিল মোদী সরকার পতনের ডাক। গুজরাতের হার্দিক প্যাটেল, জিগনেশ মেবানি, অরুণ শৌরির মতো হেভিওয়েট নেতাদের দাুপটে ভাষণের পর বক্তব্য রাখতে আসেন বিহারের লোকতান্ত্রিক জনতা দলের নেতা শরদ যাদব। ভাষণের শুরুর থেকেই বিজেপি সরকারের সমালোচনায় মুখর হন তিনি।

ঝুলিতে ছিল নোট বাতিল,জিএসটি,কৃষক সমস্যা,বেকারত্ব,পেট্রোপণ্যের মূলবৃদ্ধি,রিজার্ভ ব্যাঙ্ক,সিবিআইয়ের মতো তাবড় তাবড় ইস্যু। প্রথমে সব ঠিক থাকলেও তাল কাটে এক যায়গায়। অপ্রত্যাশিতভাবে বক্তব্যের শেষের দিকে বড়সড় ভুল করে ফেলেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক। বিজেপির রাফালকে কংগ্রেসের বোফর্সের সঙ্গে গুলিয়ে ঘেটে ঘ করে ফেললেন তিনি। রাফালের বদলে তিনি বলে ফেলেন,”বোফর্সের মতো এতো বড় দুর্নীতি কোনো দিন দেখেনি দেশ।”

একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের ভাষণে এধরণের ভুল শুনে রীতিমতো চমকে যান মঞ্চে উপস্থিত হেভিওয়েট নেতারা। সঙ্গে সঙ্গেই ভুল শুধরে দিলে ডেরেককে শরদ যাদবের কাছে পাঠান তৃণমূল নেত্রী। চিরকুট দিয়ে জানান,ওটা বোফর্স নয়,রাফায়েল হবে। এরপর নিজের বক্তব্য পাল্টে ফেলেন প্রবীণ নেতা। এরপর বিজেপি বিরোধীতায় আরো চড়া হয়ে বক্তব্যের ত্রুটি মেক-আপ দেওয়ার চেষ্টা করেন।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে ওদিকে ঠাট্টা তামাশার রোল উঠে যায় আমজনতার মধ্যে। এমনি মঞ্চে উপস্থিত নেতৃত্বরাও হাসি চেপে রাখতে পারেননি এধরণের প্রবীণ নেতার এধরণের বেফাঁস মন্তব্য শুনে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিষয়টিতে হেসে ফেলেন। শরদ পাওয়ারের বক্তব্য শেষ হতেই মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে নেত্রী বলেন,”বোফর্স নয়, শরদ যাদব আসলে রাফাল দুর্নীতির কথা বলতে চেয়েছেন।” এরপরই স্বাভাবিক হয় সভাস্থল। হেসে নিজের বক্তব্যের ত্রুটি স্বীকার করে নেন শরদ যাদবও।

উল্লেখ্য,২০১৯ এর লোকসভা ভোটে যেভাবে মোদী বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ হয়েছে বিরোধীরা,ঠিক সেরকমই ১৯৮৯ এর লোকসভা ভোটের প্রেক্ষিতে বোফর্স ইস্যুতে রাজীব গান্ধী সরকারের বিরুদ্ধে জোট বেধেছিলেন বিরোধী। বিরোধীদের সেই সমবেত আক্রমণ সেদিন পতন ঘটিয়েছিল কংগ্রেসের এবং বাম-বিজেপি সমর্থন নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতায় এসেছিলেন বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং।

সেবারের নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে সিপিএমের মালিনি ভট্টাচার্যের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওটাই ছিল তাঁর রাজনৈতিক জীবনের একমাত্র পরাজয়। সেই রাজীব গান্ধী জামানার বোফর্স ইস্যু যে ব্রিগেড জনসভার মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অস্বস্তিতে ফেলল তা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!