এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বড়সড় অস্বস্তিতে মুকুল রায়! নারদকাণ্ডে ইডি দিল ৭ দিনের সময়সীমা! জেনে নিন বিস্তারিতভাবে

বড়সড় অস্বস্তিতে মুকুল রায়! নারদকাণ্ডে ইডি দিল ৭ দিনের সময়সীমা! জেনে নিন বিস্তারিতভাবে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুকুল রায়, যিনি বাংলার রাজনীতির ময়দানে চাণক্য বলে খ্যাত, বর্তমানে একাধিক কারণের জন্য বারবার তিনি মিডিয়ার স্পটলাইটে উঠে আসছেন। এই গতমাসেই তাঁর সঙ্গে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মতবিরোধ বিষয়ে সরগরম ছিল সংবাদমাধ্যম। প্রসঙ্গত, গতমাসে দিল্লিতে একটি নির্বাচন মূলক বৈঠকের আয়োজন করেছিল বিজেপি। এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব একযোগে উপস্থিত ছিলেন। আর এই বৈঠক অঙ্গনেই বিজেপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিরোধের বিষয়টি বারবার সংবাদপত্রে হেডলাইনে উঠে এসেছিল।

বিভিন্ন দাবি করা হয়েছিল যে, মুকুল রায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের সম্পর্ক নাকি একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আর বিজেপির এই দুই অন্যতম প্রধান স্তম্ভ যদি পারস্পরিক সংঘাতে লিপ্ত হ,য় তবে বিজেপির ইমারত যে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে এমনটাই আশঙ্কা ছিল অনেকের। যদিও মুকুল রায় কিংবা দিলীপ ঘোষ এই ব্যাপারগুলি একেবারেই ভিত্তিহীন বলে বারবার দাবি করেছিলেন। তবে বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেও অজানা থাকে নি ।শেষ পর্যন্ত কৈলাস বিজয়বর্গীয়, জে.পি. নাড্ডা, অরবিন্দ মেননের মতো হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের বিবাদভঞ্জন হেতু পশ্চিমবঙ্গে পদার্পণ করেন। এই হেভিওয়েট নেতাদের প্রচেষ্টায় বিরোধ, বিসম্বাদের মেঘরাশি অপসারিত হয়ে পুনরায় উভয়ের মধ্যে পুনরায় শুনতে পাওয়া গেছে মহামিলনের ললিত বাণী। বিজেপি দলের অন্যতম প্রধান কান্ডারী মুকুল রায় বলেন, “আমি বিজেপির সঙ্গে আছি, কোথাও যাচ্ছি না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক ছিল, কিন্তু সম্প্রতি আবার মুকুল রায়কে কেন্দ্র করে আশঙ্কার কালো মেঘ জমতে শুরু করে দিল। এবার মুকুল রায়কে তাঁর ব্যাঙ্কর বিভিন্ন স্টেটমেন্ট সহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পত্র নি দের দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সংস্তা ইডি। প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু আর্থিক কেলেঙ্কারি কান্ড যেমন সারোদা, নারোদা, রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্তে বেশ কয়েকবছর ধরেই তদন্তর কাজ করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই ও ইডি। রাজ্যের শাসকদলের তরফ থেকে বারবার অভিযোগ উঠেছে, রাজ্যের শাসকদলের নেতাদেরকে দুর্বল করে দিতেই নাকি কেন্দ্র কেন্দ্রীয় এই সংস্থাগুলিকে রাজ্যে প্রেরণ করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকেও এরকম অভিযোগ একাধিকবার উত্থাপিত হয়েছে। রাজ্যে সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গুলির তৎপরতাও বেশি মাত্রায় দেখা যাচ্ছে বলে অনেক মহল থেকে দাবি করা হয়েছে।

তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা অন্য সকলকে ছেড়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের উপরেই কেন অকস্মাৎ সক্রিয় হলো, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগেই ওঠা গুঞ্জন ছিল, মুকুল রায় বিজেপি ছাড়ছে চলেছেন, পুনরায় ফিরতে চলেছেন তাঁর পূর্ব ঠিকানাতে। যদিও এই ব্যাপারগুলি সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন বলেই জানিয়েছিলেন মুকুল রায় নিজেই। তবে এরপরেও অনেকে মনে করছেন, বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের ওপর নতুন করে আবার চাপ সৃষ্টি করতে ইডিকে কাজে লাগলো বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

তবে এই বিষয়ে এখনো মুকুল রায়কে তেমন কোন বক্তব্য রাখতে দেখা যায়নি। কিন্তু তিনি বিষয়টি নিয়ে যে তিনি ক্ষুব্ধ আছেন, সেটা বুঝতে বাকি নেই অনেকেরই। প্রসঙ্গত গত জুলাই মাসে নারদা কেলেংকারী কাণ্ডে অভিযোগ ওঠা সমস্ত রাজ্য নেতাকে ইডির তরফ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে বেনজির ভাবে সেসময় রেহাই পান পেয়েছিলেন কলকাতার ভূতপূর্ব মেয়র ও অধুনা বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে, তবে সেবারে শোভন বাবু রক্ষা পেলেও পান নি মুকুলবাবু। তাঁকে কিন্তু পুরোদস্তুর নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, সেই ব্যাপারেই আবার তাঁকে নোটিশ পাঠালো ইডি।

ইডির এই নোটিশ প্রাপ্তির পর মুকুল রায়ের কি হতে চলেছে, তা নিয়েই কৌতুহল রাজ্যের বিভিন্ন মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!