এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > বিশ্বভারতীতে অশান্তি! কার স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে? একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের যোগ নিয়ে জল্পনা

বিশ্বভারতীতে অশান্তি! কার স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে? একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের যোগ নিয়ে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। পৌষমেলার মাঠের নির্মীয়মান প্রাচীর যেভাবে জেসিপি দিয়ে ধুলিস্যাৎ করে দেওয়া হল, তাতে নতুন করে চাঞ্চল্য বাড়ছে এলাকায়। জানা গেছে, পৌষ মেলার মাঠে প্রাচীর দেওয়ার প্রতিবাদে “মাঠ বাঁচাও, শান্তিনিকেতন বাঁচাও” নামে একটি মঞ্চ তৈরি করে ব্যাপক প্রচার চলে। আর তারপরই তিনি সেখানে ভাঙচুর চালানো হয়। যা নিয়ে এবার নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের পরেও এই ধরনের ঘটনা ঘটল, তার ব্যাপারে নানা মহলের তরফে সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে অনেককে।

আশ্চর্যজনকভাবে এই প্রাচীর ভাঙার ঘটনায় যে প্রতিবাদ সংঘটিত হয়, তার একেবারে সামনের সারিতে থাকতে দেখা যায় দুবরাজপুরের বিধায়ক নরেশ বাউরিকে। এছাড়াও তৃণমূলের অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাচীর ভাঙ্গার ঘটনায় কেন তিনি জড়িয়ে পড়লেন?

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউরি বলেন, “দলের তরফে নয়, বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী হিসেবে যোগ দিয়েছি। প্রচুর মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কে কি করেছে, বলতে পারব না। উত্তেজিত জনতার ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এরপরে উপাচার্য নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়া চালিয়ে গেলে এমন মিলিত প্রতিবাদ হবে যে, উনি বাড়ির বাইরে পা রাখতে পারবেন না।” তবে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হওয়ায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তরফেও প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, “প্রতিবাদ করতে হলে আইনের পথে আইন কে সঙ্গে নিয়ে করা উচিত। এভাবে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ঢুকে ভাঙচুর চালানো ঠিক নয়। আমাদের ধারণা কোনো স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে এই হামলার পেছনে শাসকদলের ইন্ধন আছে।” এদিকে এই ব্যাপারে কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “বিশ্বভারতীতে নির্মাণ কাজ হচ্ছে। তৃণমূল বিধায়কের নেতৃত্বে মিছিল যাওয়ার পর সে সব ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। এসব মেনে নেওয়া যায় না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবী করছি, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এটা চলতে দেওয়া যায় না।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বিশ্বভারতীতে নির্লজ্জ ঘটনা। ক্ষমতা দেখাতে নেমে পড়েছে দুই পক্ষ। নির্মাণে মারপিট, ভাঙচুর হচ্ছে। নিন্দার ভাষা নেই। আমরা চাই আলোচনাতেই সমাধান হোক। বিশ্ববিদ্যালয় খুলুক।” তবে যে যাই বলুন না কেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাচীর দেওয়া নিয়ে যেভাবে গ্রামবাসীদের পাশাপাশি তৃণমূল বিধায়ক সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাতে তার ভূমিকা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর যাই হোক, পরিস্থিতি যে ক্রমেই উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই বিশ্বভারতীর মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এইরকম ঘটনায় তৃণমূল বিধায়কের নাম জড়িয়ে পড়ায় এখন রীতিমত অস্বস্তিতে শাসকদল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!