এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাজেট অধিবেশনে ধনকরের ভাষনে সম্মতি রাজ্যের, বিবেচনার আর্জি রাজভবনের! দ্বৈরথের ইঙ্গিত!

বাজেট অধিবেশনে ধনকরের ভাষনে সম্মতি রাজ্যের, বিবেচনার আর্জি রাজভবনের! দ্বৈরথের ইঙ্গিত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মাঝেমধ্যেই সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় জগদীপ ধনকরকে। যা সরকারের বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর এই পরিস্থিতিতে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষন পর্ব থাকবে কি থাকবে না, তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়। আর এই পরিস্থিতিতে সেই বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষন চূড়ান্ত করল রাজ্য সরকার।

কিন্তু রাজ্যপালের ভাষন সরকারের পক্ষ থেকে করে দেওয়া হয়। সেদিক থেকে সবসময় নানা ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়া রাজ্যপাল সরকারের তৈরি করে দেওয়া ভাষণ পড়তে কতটা ইচ্ছুক হবেন, তা নিয়ে যথেষ্ট গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। আর এখানেই বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের দ্বৈরথ চরম পর্যায়ে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2 জুলাই বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। আগামী 7 জুলাই সেই বাজেট পেশ করা হবে। মূলত এবারেও রাজ্য বাজেট পেশ করবেন না অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তার অনুপস্থিতিতে রাজ্য বাজেট পেশ করবেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী। কিন্তু প্রথা অনুযায়ী রাজ্য বাজেট পেশের আগে এবারেও রাজ্যপালের ভাষন থাকছে। ইতিমধ্যেই সেই ভাষণ চূড়ান্ত করে দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। সময় মত তা রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আর এখানেই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে ঠিক আছে বলে রাজ্যপালের ভাষণে তুলে ধরা হয়েছে। সেদিক থেকে সব সময় সেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা রাজ্যপাল সরকারের ভাষণ সম্পর্কে যে যথেষ্ট আপত্তি জানাবেন, তা বলাই যায়। যার ফলে সরকারের পক্ষ থেকে তৈরি করে দেওয়া ভাষণ নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত চরম আকার ধারণ করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশের দাবি, এবারের রাজ্য বাজেট দেখার মত হতে চলেছে। নতুন করে রাজ্য সরকারের সঙ্গে এই বাজেট পাঠ নিয়ে দ্বৈরথে জড়াতে পারেন রাজ্যপাল। যা নতুন বিবাদ তৈরি করতে পারে। এমনিতেই সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক ভালো নয়। তার মধ্যে বাজেটে সরকারের পক্ষ থেকে যে কথা বশা হয়েছে, তাতে আপত্তি জানিয়ে রাজ্যপাল প্রকাশ্যে এমন কোনো মন্তব্য করতে পারেন, যা শাসক দলের পক্ষে খুব একটা হিতকর হবে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!