এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাজেটে ইনকাম ট্যাক্স ছাড়ের পর আবার চাকুরিজীবীদের জন্য বড়সড় ঘোষণা কেন্দ্রের – জানুন বিস্তারিত

বাজেটে ইনকাম ট্যাক্স ছাড়ের পর আবার চাকুরিজীবীদের জন্য বড়সড় ঘোষণা কেন্দ্রের – জানুন বিস্তারিত


দেশের প্রায় ছ’কোটি ইপিএফ গ্রাহকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে লোকসভা ভোটের মুখে ফের নয়া ঘোষণা মোদী সরকারের। সম্প্রতি বাজেট অধিবেশনে ইনকাম ট্যাক্সে বড়সড় ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। তার অব্যবহিত পরেই সরকারি চাকরিজীবীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের (পিএফ) সুদের হার বাড়িয়ে মাষ্টারস্ট্রোক দিলেন মোদী। এর জেরে পিএফের সুদের হার বার্ষিক ৮.৫৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হল ৮.৬৫ শতাংশ।

শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের (ইপিএফও) অছি পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেই জানালেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার। তবে ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশন এক হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করার ব্যাপারে বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে অবিলম্বে অছি পরিষদের বৈঠক ডাকা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র।

কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,এর আগে ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরের জন্য ৮.৫৫ শতাংশ হারে ইপিএফের বার্ষিক সুদের হার ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। এবং এটা ছিল বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে কেন্দ্রের তরফ থেকে দেওয়া সবথেকে কম সুদ। তার আগেও তিন বছরে ইপিএফের সুদের হার ক্রমাগত কমিয়ে গিয়েছে শ্রমমন্ত্রক। ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে এই সুদের হার ছিল বার্ষিক ৮.৮ শতাংশ। এরপর ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে তা আরও কমিয়ে ৮.৬৫ শতাংশ করা হয়। ২০১৭-১৮ সালে তা আরও কমিয়ে ৮.৫৫ শতাংশ করা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই সরকারী কর্মচারীদের পিএফের ক্রমাগত নিম্নগামী সুদের হারের জেরে অসন্তোষ দানা বাঁধছিল চাকুরীজীবীদের মধ্যে। এই অসন্তোষ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে আশঙ্কা করেই ভোটের মুখে পিএফের হার বৃদ্ধি করে নয়া চমক দিলেন মোদী। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ারের উপস্থিতিতে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের অছি পরিষদের বৈঠকে ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের ভিত্তিতে বার্ষিক ৮.৬৫ শতাংশ হারে ইপিএফ সুদ ঘোষণা করা হয়েছে। সুদের এই হারে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। তারপরই সিদ্ধান্তটি কার্যকর করার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। এমনটাই দাবী কেন্দ্রীয় সূত্রের খবরের।

তবে সুদের হার বৃদ্ধি করো ইপিএফ গ্রাহকদের স্বস্তি দিলেও ন্যূনতম পেনশন বাড়ানোর ব্যাপারে ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে দেশের প্রায় ৬২ লক্ষ ইপিএফ পেনশন প্রাপকদের ফের হতাশা বাড়ালো কেন্দ্র। প্রসঙ্গত,দীর্ঘদিন ধরেই এই ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশন বাড়ানো নিয়ে গড়িমসি করছে কেন্দ্র।

সম্প্রতি এই পেনশন বৃদ্ধির সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রককে রিপোর্টও দিয়েছে এই সংক্রান্ত এই উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। তারপরও কেন এই সমস্যাটি ঝুলিয়ে রাখা হল তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিকমহলে। উল্লেখ্য,এই মুহূর্তে সারা দেশের প্রায় লক্ষ ৬২ লক্ষ ইপিএফ পেনশন গ্রাহকের মধ্যে ৪০ লক্ষেরই বেশি প্রাপক মাসে এক হাজার টাকা পেনশন পান।

তাছাড়া দেশের যেসব সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ২০ জন কর্মী রয়েছে,সেই সংস্থাগুলোও ইপিএফের আওতায় রয়েছে। এ প্রসঙ্গে,ইপিএফও অছি পরিষদের অন্যতম সদস্য রামকিশোর ত্রিপাঠি বলেছেন,’এত অল্প সময়ে দু’টো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।

সেই কারণে শুধুমাত্র ইপিএফ পেনশন নিয়ে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ফের বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছে সরকার।’ তবে লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইপিএফের বার্ষিক সুদের হার যেমন বাড়িয়েছে কেন্দ্র,ঠিক সেরকমভাবে ন্যূনতম পেনশনের হার বৃদ্ধি করতেও সরকারের উদ্যোগী হওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!