এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাজেট ভাষণে তৃণমূলকে একের পর এক খোঁচা বিজেপি বিধায়কদের, চাপানউতোর তুঙ্গে

বাজেট ভাষণে তৃণমূলকে একের পর এক খোঁচা বিজেপি বিধায়কদের, চাপানউতোর তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বরাবরই রাজ্যের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে সরব রাজ্যের গেরুয়া শিবির। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে তাঁরা। আর বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে সেই দুর্নীতিকে হাতিয়ার করেই বিজেপি বিধায়করা আজ তাঁদের বক্তব্য পেশ করলেন অলে জানা যাচ্ছে। আজকে ছিল বিধানসভায় বাজেট ভাষণ। গতকাল রাজ্যের বাজেট পেশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাজেট নিয়ে আজকে পাল্টা হিসাবের কথা বলেছেন বিজেপি বিধায়ক। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বাজেট ভাষণ দিতে ওঠেন বিধায়ক অশোক লাহিড়ী।  সরকারি আর্থিক নীতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়ক এবং অডিটের দাবি করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, প্রস্তাবিত বাজেটের সাথে আসল খরচের বিস্তর ফারাক রয়ে যায়। আর এর কারণ জানতে অডিটের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন বিজেপি বিধায়ক। পাশাপাশি অশোক লাহিড়ী প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যের বহুবিধ জনমুখী প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করছেন যারা তাঁদের তালিকা প্রকাশ করাও অত্যন্ত জরুরি। এ ব্যাপারে তিনি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন আজকে বিধানসভায়। এবং জানান, রাজ্যে 47 টি প্রকল্প চলছে গত 10 বছরে। অনেক জনদরদি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। কিন্তু সেই প্রকল্পের সুবিধা কারা পাচ্ছেন? কত টাকা খরচ হচ্ছে? কত টাকা মানুষ পাচ্ছেন? তার কোনো উল্লেখ নেই বাজেটে।

কার্যত এই প্রকল্পগুলি চালাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কোন অনুদান আছে কিনা তাও জানা যায়না। একইসাথে অশোক সরকার দাবি জানান, পশ্চিমবঙ্গের জিএসটি আদায় অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কম। রাজ্যের উন্নয়নে যা অত্যন্ত প্রভাব ফেলে। একই সাথে 2017-18 এবং 2018-19 সালের বাজেটে রাজস্ব আদায় কমে গিয়েছে বলে তিনি দাবী করতে থাকেন। পাশাপাশি করোনা টিকাকরণ নিয়েও তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিতে ছাড়েননি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী ইতিমধ্যেই দাবি জানিয়েছেন, রাজ্যে 2.30 কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেক্ষেত্রে বিধায়ক চক্রবর্তী প্রশ্ন তুলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী দাবি জানালেও টিকাকরণের ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকার কত ভ্যাকসিন দিয়েছে এবং রাজ্য সরকার কত ভ্যাকসিন কিনেছে তা কিন্তু বাজেটে এখনো স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে তৃণমূল সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেন রাজ্যের অন্য বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। কার্যত তিনি তাঁর বক্তব্যে কেন্দ্রের তথ্যকে হাতিয়ার হিসাবে তুলে ধরেন। আজকে বাজেট ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশের মধ্যে অন্তত 11% পরিযায়ী শ্রমিকের বাস বাংলায়। সেক্ষেত্রে রাজ্যের বাইরে যাচ্ছেন অন্তত 11-12 লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। বছরের হিসাব করলে 40 লক্ষ দাঁড়াচ্ছে বলে বিধায়ক জানান। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে বেকার সমস্যা তীব্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেনি রাজ্য সরকার। একইসাথে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী দাবি করেন, রাজ্যে 50 হাজার মানুষ এই মুহূর্তে বেকার হয়ে রয়েছেন। তাঁদের জন্য কোনো কাজের সুযোগ এনে দিতে পারেনি তৃণমূল সরকার। সব মিলিয়ে বাজেট ভাষণে আজকে তৃণমূলকে চাপে ফেলার যতরকম হাতিয়ার আছে, তা প্রয়োগ করেছেন বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা। অন্যদিকে বিধানসভায় যে নিত্যদিনের অধিবেশন চলছে, তাতে তৃণমূল এবং বিজেপির চাপানউতোর বাড়ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এবং আজকে বাজেট বিতর্কে অংশগ্রহণ করে বিজেপি বিধায়করা যেভাবে অডিট প্রসঙ্গ, বেকার প্রসঙ্গ সামনে আনলেন, তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!