এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বুলবুলে লন্ডভন্ড এলাকা! নেই ত্রাণ, দেখা নেই সেলিব্রিটি সাংসদের! ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী!

বুলবুলে লন্ডভন্ড এলাকা! নেই ত্রাণ, দেখা নেই সেলিব্রিটি সাংসদের! ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী!


 

ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দাপটে এখন আতঙ্কিত বাংলার বিভিন্ন এলাকা। ইতিমধ্যেই বুলবুলের রোষে লন্ডভন্ড হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের অনেক জায়গা। যার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। এমনকি ছুটি থাকা সত্ত্বেও শনিবার রাত থেকে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে পরিস্থিতি তদারকি করতে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

কিন্তু যে জনতা জনার্দন তাদের নিরাপত্তার জন্য সাংসদ করেছিল সমাজের বিশিষ্ট মানুষকে, সেই সাংসদ জনতার বিপদের দিনে না থাকায় ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, ত্রাণ না পাওয়ায় রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন এলাকাবাসীরা।

জানা গেছে, শনিবার বিকেল থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি সহ বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকায়। শনিবার রাত থেকে বুলবুলের দাপটে ভয়াবহ ঝড় শুরু হলে অনেক ইলেকট্রিক পোস্ট ভেঙে পড়তে শুরু করে। যা সেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটকে অনেকাংশেই বাড়িয়ে দেয়।

শুধু তাই নয়, ঝড়ের জেরে বড় বড় গাছ রাস্তায় পড়ে থাকায় ত্রানও ঠিকমত পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না সাধারণ মানুষজনের কাছে। আর ঠিকমতো ত্রাণ না পাওয়ায় এখন ক্ষোভে ফুঁসছে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। বিপদের দিনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহানকে দেখতে না পেয়ে অনেকেই তাদের ক্ষোভ চাপা রাখতে পারেননি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে হিঙ্গলগঞ্জের বাসিন্দা তপন সর্দার, গদাধর মিদ্যা বলেন, “ভোটের সময় এসে সংসদ সদস্য বিপদে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিল। ঝড়ে আমাদের দিশেহারা অবস্থা হয়েছে। এই বিপদের দিনে কেউ পাশে নেই। ত্রাণ পাচ্ছি না। রাস্তায় গাছপালা পড়ে থাকায় বাড়িতে কার্যত বন্দী হয়ে বসে থাকতে হচ্ছে।”

সত্যিই তো তাই। স্থানীয় মানুষজনের বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হয়ে মানুষের পাশে থাকবেন বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন কেন বিধ্বংসী ঝড়ে প্রবল অসুবিধায় পড়ে সাধারণ মানুষদের পাশে থাকতে দেখা যাচ্ছে না বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদকে! তাহলে কি তিনিও ভোটপাখি হয়ে গেলেন!

এখন এই প্রশ্নই করতে শুরু করেছে একাংশ। যদিও বা এই প্রসঙ্গে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “আমরা সকলে দুর্গত মানুষদের পাশে রয়েছি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তা পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তা পরিষ্কার সম্পূর্ণ হলেই ত্রাণ পৌঁছে যাবে। সাংসদ সোমবার বসিরহাটে যাবেন।” কিন্তু তিনিতো জনপ্রতিনিধি। মানুষের জন্য তো তার নিবেদিত প্রাণ হওয়া উচিত। সেখানে কেন এত দেরি করে তিনি তার সংসদীয় ক্ষেত্রে যাবেন! এখন এই সমস্ত প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!