জনজীবন বিপর্যস্ত করে বুলবুলের তান্ডব বাংলার বুকে! বড় রকমের ক্ষয়ক্ষতি সাধারণ মানুষের কলকাতা রাজ্য November 10, 2019 বুলবুল…বিধ্বংসী এক সাইক্লোন। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী প্রথম থেকেই সতর্ক ছিলেন সকলে। রাজ্য প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসন সব জায়গাতেই বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে সেই ঝড় ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে বলে দাবি করা হয়েছিল আবহাওয়াবিদদের তরফে। অবশেষে তাই হল। শুক্রবার রাত থেকে ভয়ঙ্কর আকার নিল সেই বুলবুল। বিধ্বংসী এই ঝড়ের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় ইতিমধ্যেই ঝড়ো হাওয়া এবং ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাতে টানা বৃষ্টি হওয়ার জন্য বিভিন্ন এলাকায় বহু কাঁচা বাড়ি ভেঙে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। যেখানে প্রশাসনের তরফে সেই দুর্গতদের অন্য জায়গায় সরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যার ফলে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের জনজীবন এখন সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত বলে দাবি সকলের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার অফিসে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যে কন্ট্রোল রুমের নম্বর, 9073939804। অন্যদিকে রামনগর 1 ব্লকেও একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যার নম্বর, 9073939819। এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, “আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছি। সব রকম পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।” এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কন্ট্রোলরুম খোলার পাশাপাশি 1077 দিয়ে টোল ফ্রি নম্বর চালু এবং জরুরী দপ্তরের ফোন নম্বরের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রতিমা দাস বলেন, “এদিন জেলায় 359 জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় পরিবারের সদস্য সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়াও বাড়ি নিরাপদ নয়, এমন পরিবারের লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খড়পুর মহাকুমার মোহনপুরে 200 জনকে সরিয়ে 12 টি স্কুলে রাখা হয়েছে। ঘাটাল মহকুমার 67 টি পরিবারের 159 জনকে স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের খাবার দেওয়া হচ্ছে। সব ব্লককে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।” অবস্থা খুব একটা ভালো নয় ঝাড়গ্রাম জেলারও। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের মত এই জেলাতেও জেলা প্রশাসনের তরফে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যার নম্বর, 03221-258228। এদিন এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, “আমাদের জেলার বিনপুর 1 ব্লকে তিনটি মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। পরিবারের লোকজনকে একটি স্কুলে রাখা হয়েছে। ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার সব ব্লকেই মাইকিং করে এলাকার মানুষকে আগাম সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে।” তবে জেলা প্রশাসন আগেভাগে সতর্ক করে দিলেও প্রকৃতির উপর কারও হাত থাকে না। আর তাইতো বিধ্বংসী বুলবুল ঝড়ের রোষানলে পড়ে এবার অনেক মানুষকেই ঘরছাড়া হতে হল। আপনার মতামত জানান -