এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম ভেঙে ভর্তির অভিযোগ উঠলো এবার তৃণমূল সংসদ -এর বিরুদ্ধে

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম ভেঙে ভর্তির অভিযোগ উঠলো এবার তৃণমূল সংসদ -এর বিরুদ্ধে


এবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম বর্হিভূত প্রক্রিয়ায় ভর্তির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় শোরগোল পড়ে গেল রাজ্যে। তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকে অগ্রাহ্য করে ভর্তি করানো হয়েছে,এমনটাই অভিযোগ এসএফআই-এর। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী,কোনো ছাত্র-ছাত্রী যদি প্রথম সেমিস্টারে কোনো ক্লাস না করেন তাহলে তাকে কখনোই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয় না।

এমনকি তিনি যদি রি-অ্যাডমিশনের জন্য আবেদন করেন তাহলে তাঁকে নতুন করে অ্যাডমিশন টেস্টে বসে আগে পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবেই ভর্তি হতে পারবেন তিনি। কিন্তু অপরূপা পোদ্দারের ক্ষেত্রে এ নিয়ম মানা হয়নি। অপরূপা দেবীকে স্পেশাল কেস হিসাবে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেন এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল। এ নিয়ে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠে পূর্ব বর্ধমান জেলা এসএফআই নেতৃত্ব।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র থেকে জানা গিয়েছে,২০১৬-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলএম বিভাগে ভর্তি হয়েছেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। একদিনও ক্লাস না করায় তাঁকে প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু পরের বছরই তিনি রি-অ্যাডমিশনের জন্য আবেদন করেন। এবং তাঁর আবেদন গ্রাহ্যও হয়ে যায়। চলতি বছরের ২২ মার্চ বর্ধমান বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল অপরূপা পোদ্দারকে নতুন করে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেন। সম্প্রতি হুগলি মহসিন কলেজে একটি আসন বৃদ্ধি করে স্পেশাল কেস হিসাবে তাঁকে ভর্তি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে এসএফআই-জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরী বলেছেন,সাধারণত কোনো পড়ুয়া শিক্ষাবর্ষে যদি ৭০% অনুপস্থিত থাকে তাহলে তাকে ডিসকলেজিয়েট করা হয়। সেই নিয়ম মেনে অপরূপা দেবীকেও ডিসকলেজিয়েট করা হয়েছিল। কিন্তু সেসময় ল’কলেজের হেড অব দ্য ডিপার্টমেন্টের উপর চাপ সৃষ্টি করা হলে ফের আবেদনে ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ করে দেওয়া হয় অপরূপা দেবীর জন্য। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের স্পেশাল পারমিশনে ফের ভর্তি হয়ে যান অপরূপা পোদ্দার। উক্ত বিষয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর তোফাজ্জল হোসেনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রতিক্রিয়ায় নীরব থাকেন। তবে ফের একবার শিক্ষাঙ্গনে নিয়ম ভাঙার দায়ে অভিযোগে নাম জড়ালো তৃণমূলের। গোটা ঘটনাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং পড়ুয়ামহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে এসএফআই এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছে। সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কান্ড নিয়ে তীব্র চর্চা শুরু হয়েছে শিক্ষা-রাজনৈতিকমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!