এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > উপনির্বাচনে ভরাডুবি হতেই শীর্ষ নেতাদের দল ছাড়ার হিড়িক! ঘুম উড়তে চলেছে শীর্ষ নেতৃত্বের!

উপনির্বাচনে ভরাডুবি হতেই শীর্ষ নেতাদের দল ছাড়ার হিড়িক! ঘুম উড়তে চলেছে শীর্ষ নেতৃত্বের!

সোমবার ফল প্রকাশিত হয়েছে কর্ণাটক বিধানসভা উপনির্বাচনের। যেখানে বিরোধী শিবিরকে রীতিমত ধরাশায়ী করে দিয়েছেন কর্নাটকের শাসক দল তথা কেন্দ্রের শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন যে 15 টি বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে, তার মধ্যে 12 টি আসনেই বিপুল ভোটে জয় যুক্ত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীরা। আর কর্নাটকের এই ফলাফল সামনে আসার পরেই কংগ্রেস শিবিরে রীতিমত ইস্তফার দৌড় শুরু হয়ে গেছে।

গত বিধানসভা নির্বাচনে কর্নাটকে সবচেয়ে বড়দল রূপে আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় প্রথম দফায় সরকার গড়তে পারেনি বিজেপি। কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন জনতা দল সেক্যুলার নেতা এইচডি কুমারস্বামী।

তবে কর্নাটকে কংগ্রেস জেডিএসের সেই জোট সরকার দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই কংগ্রেস এবং জেডিএসের কিছু বিক্ষুব্ধ বিধায়কের সমর্থন নিয়ে অবশেষে সরকার গঠন করে ভারতীয় জনতা পার্টি মুখ্যমন্ত্রী হন বিএস ইয়াদুরাপ্পা। পরবর্তীতে ভারতীয় জনতা পার্টিকে সমর্থনকারী সেই সমস্ত বিধায়কদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা হলে সেই সমস্ত আসনে উপনির্বাচন ঘোষিত হয়। কাজেই উপনির্বাচন ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে যেমন ক্ষমতার অগ্নিপরীক্ষা ছিল, কংগ্রেস এবং জনতা দল সেক্যুলারের কাছে তেমনই প্রেস্টিজ ফাইট ছিল।

কংগ্রেসের তরফ থেকে এই নির্বাচনে নেতৃত্বদান করছিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কর্ণাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া এবং কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতি দিনেশ গুন্ডুরাও। নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে কার্যত পর্যুদস্ত হওয়ার পরেই কংগ্রেসের এই দুই দলনেতাই নিজেদের ইস্তফাপত্র কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে খবর।

যদিও কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি আগেই ঘোষণা করেছিলেন, যদি পরাজয় হয়। সেক্ষেত্রে পদত্যাগ করবেন। সেইমত এইদিন নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দিনেশ গুন্ডুরাও।স্বাভাবিকভাবেই  দুই প্রথম সারির নেতা তথা কর্ণাটক কংগ্রেসের নীতিনির্ধারকরা ইস্তফা দেওয়ার ফলে কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে পড়তে হয়েছে কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেসকে। ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে অবশ্য কর্ণাটক উপনির্বাচনের বিজয় যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কর্নাটকের ক্ষেত্রে তো বটেই, যেখানে এই উপনির্বাচনে বিজয়ের ফলে আগামী তিন বছরের জন্য নিশ্চিত হয়ে গেছে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার, তেমনই দেশের অন্যান্য জায়গাতেও ভারতীয় জনতা পার্টির এই বিজয় পার্টি কর্মী-সমর্থকদের মনে নতুন উচ্ছ্বাস তৈরি করেছে। ইতিমধ্যেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পাকে টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন, “কর্ণাটকের ফলাফলে বোঝা গেল, যেখানে যারা জনমতের বিরুদ্ধে গিয়েছে, মানুষ তাদের শাস্তি দিয়েছে।”

কর্নাটকের উপনির্বাচনের জয়ের পরে উজ্জীবিত হয়েছে ঝাড়খণ্ডের ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী সমর্থকরাও। তাদের মতে, উপনির্বাচনে এই বিজয়ের ফলে ঝাড়খন্ডে আগামী দফার ভোটগুলিতে মানুষের মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রভাব বাড়বে। এদিকে কয়েকদিন আগে সবথেকে বড় দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা সত্ত্বেও মহারাষ্ট্রের মাটিতে সরকার তৈরি করতে বিফল ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, “সুযোগ সন্ধানী রাজনীতি করার ফল পেল কংগ্রেস। প্রথম সুযোগেই শাস্তি দিল মানুষ।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মহারাষ্ট্র থেকে শুরু করে হরিয়ানা, হরিয়ানা থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ, পরপর বেশ কয়েকটি নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি কার্যত পরাজয়ের মুখই দেখছিল। কর্নাটকের উপনির্বাচনের জয়ের ফলে দল অনেকটাই ঘুরে দাঁড়ানোর জায়গা পেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!