এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আসনের উপনির্বাচনই কি প্রমান করে দেবে 2021-এর রাজনৈতিক সমীকরণ? বাড়ছে জল্পনা

আসনের উপনির্বাচনই কি প্রমান করে দেবে 2021-এর রাজনৈতিক সমীকরণ? বাড়ছে জল্পনা

2019 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় সেইভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়ার মত কোনো বিরোধী দল ছিল না বলে দাবি করেছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখে তাদের সেই দাবি থেকে তারা সরে এসেছে। 42 এ 42 এর স্লোগান দেওয়া তৃণমূল কংগ্রেস 22 টি আসন পেলেও 18 টি আসন নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে কম্পন ধরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

অর্থাৎ যে রাজনৈতিক দলটি 2014 সালে ব্যাপক মোদি ঝড় হওয়া সত্ত্বেও বাংলা থেকে মোটে 2 টি আসন পেয়েছিল, সেই দল 2019 এ বাংলা 18 টি আসন পাওয়ায় হতবাক হয়ে গিয়েছিল তৃণমূল। আর লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই বিজেপির রাজ্য নেতারা দাবি করে আসছিলেন, তৃণমূল উনিশে হাফ এবং একুশে সাফ হবে। সেইমত লোকসভায় তারা টার্গেটের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে গেলে আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন তাদের কাছে মূল টার্গেট বলে দাবি করতে দেখা গেছে দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়দের।

কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রায় প্রত্যেকেই দেখে নিতে চাইছিলেন, রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণ। অবশেষে সেই সুযোগ চলে এল। সম্প্রতি রাজ্যের তিনটি কেন্দ্র, অর্থাৎ করিমপুর, খড়গপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

আগামী নভেম্বর মাসের 25 তারিখ এই তিন কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে এই তিন হেভিওয়েট বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শাসক বনাম বিরোধীর লড়াইয়ে কে এগিয়ে থাকে, তা প্রমাণ হয়ে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার ওপরই নির্ভর করবে আগামী বিধানসভা নির্বাচন বলে মত একাংশের। বস্তুত, খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বর্তমান মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। লোকসভা নির্বাচনে তিনি মেদিনীপুরে দাঁড়িয়ে সাংসদ হওয়ায় তার ছেড়ে যাওয়া এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। তাই তৃণমূলের তরফে এই কেন্দ্রে জিতবার জন্য যেমন সমস্ত চেষ্টা করা হচ্ছে, ঠিক তেমনই বিজেপি চেষ্টা করছে তাদের মুখ রক্ষা করার।

অন্যদিকে করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এতদিন মহুয়া মৈত্র বিধায়িকা ছিলেন। কিন্তু কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হওয়ায় এবার তার ছেড়ে যাওয়া এই আসনে নির্বাচন হবে। ফলে বিজেপি এবং তৃণমূল দুই দলেরই টার্গেট এই করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি দখল করা। তাই শেষ পর্যন্ত কে এখানে শেষ হাসি হাসে, তার দিকে নজর থাকবে সকলেরই।

এদিকে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক কংগ্রেসের প্রমথনাথ রায় এবার সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কংগ্রেসিদের বেল্ট হিসেবে পরিচিত এই কেন্দ্র দক্ষিণপন্থীদের দখলে থাকে, নাকি রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের মত বিজেপির দখলে যায়, সেদিকেও নজর রয়েছে অনেকের। ভোটের রেজাল্ট কি হবে, তা কেউ জানেন না। কিন্তু যদি এই ফলাফলে বিজেপির প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা যায়, তাহলে যে আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘাসফুল শিবিরের পক্ষে অত্যন্ত চিন্তার কারন হবে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

অন্যদিকে একইভাবে লোকসভায় বিজেপির যে প্রভাব ছিল, এই নির্বাচনে যদি সেই প্রভাব ফিকে হওয়ার প্রবণতা বাড়ে, তাহলে তৃণমূল অনেকটাই স্বস্তিতে থাকবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বলে মত পর্যবেক্ষকদের। তবে কোন দিকে হাওয়া ঘোরে, কি হয় পরিস্থিতি, এখন সেদিকেই নজর সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!