উপনির্বাচনে ঘাসফুল ফোটাতে মরিয়া টীম পিকে কাজ শুরু করে দিল বুথস্তরে গিয়ে! উত্তরবঙ্গ কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা মেদিনীপুর রাজ্য November 13, 2019 নদী পার হওয়ার ক্ষেত্রে যাত্রীরা প্রধান ভূমিকা নেয় না, প্রধান ভূমিকা নেয় নাবিক। ঠিক তেমনই বঙ্গ রাজনীতিতে ভোটের বৈতরণী পার হতে প্রশান্ত কিশোরের টিমের উপর ভরসা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস 22 টি আসন পাওয়ার পর এবং বিজেপি 18 টা আসন দখলের পর নিজেদের ভাবমূর্তি ফেরাতে উদ্যোগী হয় রাজ্যের শাসক দল। দলের রণনীতিকার হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ করেন প্রশান্ত কিশোরকে। আর তারপর থেকেই প্রশান্ত কিশোর এবং তার টিম দিদিকে বলো থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। তবে পিকের টিম দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম তাদের নির্বাচনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আগামী 25 নভেম্বর রাজ্যের 3 বিধানসভা কেন্দ্র কালিয়াগঞ্জ, করিমপুর এবং খড়্গপুরের উপনির্বাচন রয়েছে। তাই সেদিক থেকে তৃণমূলের রননীতিকার প্রশান্ত কিশোরের টিমের কাজ কি হবে, তার দিকে নজর ছিল সকলেরই। তৃণমূলকে সাহায্য করতে এই টিম ঠিক কিভাবে কাজ করবে, তা নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জনও সৃষ্টি হয়েছিল। অবশেষে পর্দা ফাঁস হল। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের সাফল্য আনতে সেখানে বুথভিত্তিক নজরদারি চালাতে শুরু করেছে প্রশান্ত কিশোরের টিম। জানা গেছে, এই বিধানসভা কেন্দ্রের 270 টি বুথেই ছোট-বড় সমস্ত ঘটনার প্রতি নজর রাখছে তারা। একদিকে সাধারণ মানুষের মনে কি ব্যাপারে ক্ষোভ রয়েছে, আর অন্যদিকে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে কিনা, সেই দুটি ব্যাপারই বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছেন এই টিমের সদস্যরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর দলীয় স্তর থেকে জনমানসের ক্ষোভ, তাদের নজরে আসলেই তা জেলা নেতৃত্বকে জানানো হচ্ছে। যার ফলে জেলা নেতৃত্ব সেই ক্ষোভ মেটাতে আসরে নেমে পড়েছেন। তবে প্রশান্ত কিশোরের টিম এইভাবে ময়দানে নামায় কিছুটা হলেও চাপে পড়েছেন তৃণমূলের অনেক জেলা নেতৃত্ব। একাংশ বলছেন, এই কালিয়াগঞ্জ বিধানসভায় দলের টিকিট পাওয়ার জন্য অনেকেই মুখিয়ে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তপন দেব সিংহকে প্রার্থী করায় অনেকেই তা পছন্দ করতে পারেনি। যার ফলে তৃণমূলের অনেক নেতা বসে গিয়েছেন। আর তাই সেই সমস্ত নেতাদের চিহ্নিত করে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সেই খবর পাঠাতে পারে পিকের টিম। যার ফলে সেই সমস্ত নেতৃত্বরা এখন অপছন্দ হলেও দলীয় প্রার্থীর হয়ে ময়দানে নামতে বাধ্য হবেন বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। অন্যদিকে অনেকে বলছেন, তৃণমূলে এতদিন বুথস্তরে সংগঠন প্রায় ছিল না বললেই চলে। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের দায়িত্ব নেওয়ার পরই বুথের সংগঠনকে শক্তিশালী করার দিকে নজর দিয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে সেখানকার সমস্ত বুথে ঘাঁটি গেড়ে প্রশান্ত কিশোরের টিম তৃণমূলের ভাবমূর্তি ভালো করার চেষ্টা করছে বলে মত বিশ্লেষকদের। কিন্তু এর ফলে তৃণমূলের ফাঁকিবাজি এবং গোষ্ঠী কোন্দল করা নেতাদের অনেকটাই অসুবিধে হবে বলে দাবি একাংশের। যদিও বা এই ব্যাপারে তাদের ভালই হচ্ছে বলে জানান তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “টিম টিকে আমাদের প্রার্থীর প্রচারে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করছেন। আমরা ভোটারদের কাছে গিয়ে ভালো সাড়া পাচ্ছি। এবারে কালিয়াগঞ্জে ভালো ফল হবে।” কিন্তু পিকের টিম চেষ্টা করলেও একদিকে দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল, আর একদিকে সাধারণ মানুষের মন জয় করতে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা কতটা সক্ষম হন, তার দিকে নজর রয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -