এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে, পৌরভোটের আগে বাড়ছে অস্বস্তি!

ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে, পৌরভোটের আগে বাড়ছে অস্বস্তি!

গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের খারাপ ফলাফল হওয়ার পেছনে রয়েছে নিচুতলার নেতা জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতি। তবে পৌরসভা ভোটের মুখে যাতে সেরকম কোনো ঘটনা না ঘটে, তার জন্য ইতিমধ্যেই দলের তরফে জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা। কিন্তু তা সত্ত্বেও শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যাচ্ছে না। এবার তৃণমূলেরই সাধের “দিদিকে বলো” কর্মসূচিতে তুফানগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান অনন্ত বর্মার বিরুদ্ধে উঠল ব্যাপক কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ। যা নিঃসন্দেহে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে পৌরসভা নির্বাচনের আগে প্রবলভাবে চাপে ফেলল বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। সূত্রের খবর, সম্প্রতি তুফানগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান অনন্ত বর্মার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি “দিদিকে বলোতে” লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

যেখানে তিনি বলেছেন, হাউস ফর অল প্রকল্পে ঘর পিছু কুড়ি হাজার টাকা করে তুলেছেন চেয়ারম্যান এবং তার ঘনিষ্ঠরা। এদিকে ঠিকাদার নিয়োগ করে এই কাজ হওয়ায়, ঘর পাওয়া অনেক বাসিন্দারাই বর্তমানে আতঙ্কে রয়েছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে তুফানগঞ্জ পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লীর বাসিন্দা দিপালী দেবনাথের ছেলে মিঠু দেবনাথ বলেন, “ঠিকাদার নিয়োগ করে ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ছাদ ঢালাইয়ের এক সপ্তাহের মধ্যেই জল পড়তে শুরু করে। পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ জানালে ঠিকাদারকে ছাদ ভেঙে ফেলার কথা জানান পৌরপ্রধান। পরে ঠিকাদার আমাদের ঘরের উপর ছাদ বরাবর টিনশেড লাগিয়ে দেন। সব সময় আতঙ্কে রয়েছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে ঘর পাওয়া আরেক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, “আমার কাছ থেকে আলাদাভাবে 4000 টাকা নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কিছু বলব না। তাহলে বিপদ হতে পারে।” আর সাধারণের কথা থেকেই পৌরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসায় এখন ব্যাপক চাপে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই ব্যাপারে সরব হতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এদিন এই প্রসঙ্গে তুফানগঞ্জ পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের প্রশান্ত পাল বলেন, “সরকারি নিয়মে ওই প্রকল্পের ঘর সুবিধা প্রাপকরা নিজেরাই তৈরি করবেন। সেখানে পৌরসভার ঠিকাদার দিয়ে প্রতিটি ঘর তৈরি হয়েছে। ঘরপিছু ঠিকাদারের কাছ থেকে কুড়ি হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এই টাকা তৃণমূলের তহবিল এবং পৌরপ্রধানের পকেটে গিয়েছে। হিসেব করলে হাতানো টাকার পরিমাণ দেড় কোটি হবে।”

যদিও বা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে তুফানগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান অনন্ত বর্মা বলেন, “নিয়ম মেনে সরাসরি টাকা বেনিফিশিয়ারিদের দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদার পৌরসভা নিয়োগ করেনি। তাই টাকা নেওয়ার অভিযোগ একটা চক্রান্ত।” একইভাবে এই ব্যাপারে তুফানগঞ্জ শহর তৃণমূলের আহ্বায়ক শিবপদ পাল বলেন, “আগে কি হয়েছে, আমি বলতে পারব না। কিছু কিছু সুবিধাভোগী আর্থিক সমস্যার জন্য ঘর করতে পারছিলেন না। তারাই প্রমোটার নিয়োগ করেছিলেন। এখানে তৃণমূলের কোনো বিষয় নেই। বিরোধীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।” তবে তৃণমূলের তরফে যে দাবিই করা হোক না কেন, পরিস্থিতি যে বেগতিক এবং সত্যিই যদি এই ঘটনার সত্যতা পায়, তাহলে পৌরসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে এখানে চরম বিপাকে পড়বে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!