এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সিএএ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিধানসভা ভিত্তিক টিম গড়ে এগোতে চলেছে গেরুয়া শিবির

সিএএ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিধানসভা ভিত্তিক টিম গড়ে এগোতে চলেছে গেরুয়া শিবির

 

সম্প্রতি সংসদের দুই কক্ষে পাস হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। আর তারপরই তাতে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আর রাষ্ট্রপতি এই বিলে স্বাক্ষর করার পরই, তা আইনে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত বিক্ষোভের আগুনে জ্বলতে শুরু করেছে।

কোথাও ট্রেন আটকে অবরোধ, কোথাও স্টেশন পুড়িয়ে দেওয়া, আবার কোথাও বা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। যার ফলে যত দিন যাচ্ছে, ততই ভয়াবহ হয়ে উঠছে বাংলার পরিস্থিতি। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে পরিস্থিতিকে শান্ত করতে রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্য প্রশাসন সেই পরিস্থিতি শান্ত করতে চাইলেও, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

তাই এই পরিস্থিতিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে কোচবিহার জেলায় কোনো গন্ডগোল হচ্ছে কিনা, তার উপর নজর রাখতে উদ্যোগ নিল ভারতীয় জনতা পার্টি। সূত্রের খবর, সোমবার কোচবিহার জেলার সমস্ত বিধানসভার আহ্বায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রাভা রায়। আর সেখানেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর কোচবিহার জেলায় কোথায় কোথায় গন্ডগোল হচ্ছে, তার ওপর নজর রাখতে বিধানসভা ভিত্তিক টিম গঠনের উদ্যোগ নেন তিনি।

জানা গেছে, কোচবিহার জেলার প্রতিটি বিধানসভায় জন্য নিযুক্ত বিজেপির এই টিম 24 ঘন্টা কাজ করবে। মোট তিন শিফটে কাজ চালিয়ে কোথাও কোনো অশান্তির খবর পেলেই, তা জেলা নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দেবে। আর জেলা নেতৃত্বের কানে গন্ডগোলের খবর এলেই, তা জেলা নেতৃত্বের তরফে রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হবে বলে খবর। বিশ্লেষকরা বলছেন, কোচবিহার জেলা বিজেপির এই উদ্যোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা সীমান্তবর্তী এই জেলায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর, বিক্ষোভ সংঘটিত হলেও হতে পারে। ফলে সেদিক থেকে যদি সেই বিক্ষোভ ভয়াবহ আকার ধারণ করে, তাহলে তা নিজেদের নজরে এনে রাজ্যকে জানাবে জেলা বিজেপি। আর তখন রাজ্য নেতৃত্ব জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য প্রশাসনের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে তৃণমূলের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে শুধু নাগরিকপঞ্জি বিলের পরিপ্রেক্ষিতেই নয়, জেলায় ভারতীয় জনতা পার্টির ওপর শাসক দলের তরফে অত্যাচার চালানোর মত ঘটনার ওপরও নজর রাখবে এই টিম বলে জানা যাচ্ছে।

এদিন এই টিম গঠন প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে বা অন্য কোনো গন্ডগোল হলে সেই খবর যাতে আমরা সঙ্গে সঙ্গে পাই, তার জন্য আমরা জেলার বিধানসভা এলাকা ভিত্তিক একটি করে টিম তৈরি করছি।

তারা এলাকার ওপর নজর রাখবে। কোনো জায়গায় কোনো অশান্তির খবর পেলেই তা জেলা কার্যালয়ে নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে জানাবে। জেলা কার্যালয়ে টিমের কর্মীরা 24 ঘন্টা থাকবেন। এর জন্য নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিরোধীরা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা এসবের বিপক্ষে লিফলেট বিলি করব।” সব মিলিয়ে এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হওয়ার পর কোচবিহার জেলায় গন্ডগোল অশান্তির খবর পেতে টিম গড়ে নজর রাখার উদ্যোগ নিল ভারতীয় জনতা পার্টি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!