এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সিএএ প্রতিবাদের নামে গেরুয়া শিবিরের কর্মী ও পার্টি অফিসে হামলা! বড়সড় পদক্ষেপ বিজেপি সাংসদের

সিএএ প্রতিবাদের নামে গেরুয়া শিবিরের কর্মী ও পার্টি অফিসে হামলা! বড়সড় পদক্ষেপ বিজেপি সাংসদের


 

বিক্ষোভের নামে বিভিন্ন জেলা থেকে বারবারই পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে আসছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। আর এইবার সেই তালিকায় যুক্ত হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লকের নাম। তবে এখানে শুধু বিরোধীদের পার্টি অফিস ভাঙচুর নয়, বিরোধী নেতাকর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পর্যন্ত ওঠে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।

গোটা ঘটনায় লিখিতভাবে হরিরামপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। শুধু অভিযোগ জানানোই নয়, ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছে সুকান্তবাবুর তরফ থেকে। এক্ষেত্রে পুলিশকে 72 ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন সাংসদ।

ঘটনার সূত্রপাত হয়, রবিবার। যেখানে সংশোধিত নাগরিক আইন বিরোধিতা করতে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে হরিরামপুরে যে মিছিল সংঘটিত করা হয়েছিল, সেই মিছিল থেকে বিজেপি পার্টি অফিস এবং কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে গোটা ঘটনাটি অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দাবি, ঘটনার দিন তৃণমূলের মিছিলের পাশাপাশি আরও একটি মিছিল চলছিল। সেই মিছিল থেকে হামলা করা হয়েছে বিজেপি পার্টি অফিসে।

ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ জড়িত নয় বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে সরাসরি অভিযোগ করেন হরিরামপুর মন্ডল বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের দাবি, তৃণমূলের মিছিল থেকেই আক্রমণ চালানো হয়েছে। বিজেপি পার্টি অফিসে সোমবার দিন সকাল বেলা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ভারতীয় জনতা পার্টির বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

পার্টি অফিসের পাশাপাশি আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের বাড়িতে যান সাংসদ। আর তারপরেই সাংসদের তরফ থেকে হরিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুধু অভিযোগ করাই নয়, 72 ঘণ্টার মধ্যে দোষীদেরকে গ্রেপ্তার না করা হলে থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এদিন গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কার্যকারী সভাপতি সুভাশিষ পাল বলেছেন, “আমাদের মিছিল হরিরামপুর চৌপথি থেকে হাসপাতালের দিকে যাওয়ার সময় আমরা লক্ষ্য করি। বিজেপি কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের মিছিলের সঙ্গে আরও একটা মিছিল ছিল। সেইটুকু দেখেছি। কে বিজেপি দলের কার্যালয় ভাঙল, তাতে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।”

তবে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি যাই বলুন না কেন, বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে যে অভিযোগ করেছেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় রয়েছে, তৃণমূল সারা রাজ্যে যে হিংসা ও আগুন লাগিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার কাজ করছে। রাজ্য সরকার কয়েকদিন থেকে প্ররোচনার ফলে সরকারি সম্পত্তি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও রাজ্য সরকার কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।

এদিন নিজের বক্তব্যে তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কার্যকারী সভাপতি শুভাশিস পালের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করে সুকান্ত বাবু বলেন, “হরিরামপুর ব্লকে তৃণমূলের লোকজন সোনা পালের নেতৃত্বে আমাদের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা করছি। সেই সঙ্গে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি করছি। পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে হরিরামপুর থানার কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়ে আমি নিজে অবস্থান-বিক্ষোভ করব।”

তবে চাঞ্চল্যকর ভাবে এদিন হরিরামপুরে বিজেপি পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়াতে লাইভ টেলিকাস্ট করা হয় বলে খবর। দলের তরফ থেকে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, পার্টি অফিস ভাংচুরের ঘটনা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। ইতিমধ্যেই তা জানানো হয়েছে। রামপুর থানার আইসি সঞ্জীব বিশ্বাস বলেছেন, অভিযোগ পেয়েছি।

ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে তীব্র হিংসাত্মক আন্দোলনের আগুন এবং রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা যেভাবে রাজ্যে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে, তা যথেষ্ট চিন্তা জনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন পুনরায় কবে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে, সেদিকে লক্ষ্য থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!