এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অনুমতি না মিললেও সিএএ-এর সমর্থনে মিছিল বিজেপির, হিটলার বলে কটাক্ষ মমতাকে!

অনুমতি না মিললেও সিএএ-এর সমর্থনে মিছিল বিজেপির, হিটলার বলে কটাক্ষ মমতাকে!


 

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরেই তার বিরোধিতায় পথে নেমেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় মিছিল করে এই আইনের বিরুদ্ধে মত পোষণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃণমূলের সেই প্রচারকে মাত করতে ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফ এই সেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পক্ষে প্রচার করার কথা জানানো হয়েছে।

কিন্তু যে সমস্ত জায়গায় বিজেপি এই বিলের স্বপক্ষে প্রচার করতে চলেছে, সেই সমস্ত জায়গায় পুলিশের অনুমতি মিলছে না বলেও অভিযোগ করছে গেরুয়া শিবির। তবে প্রথম থেকেই পুলিশের অনুমতি না মিললেও, তারা তাদের কাজ চালিয়ে যাবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এবার তা করে দেখালেন তারা। যাকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হল আসানসোলে।

সূত্রের খবর, শুক্রবার পুলিশের অনুমতি না মিললেও আসানসোলে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের স্বপক্ষে মিছিল করে ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে এই মিছিলে যোগ দিলেও, পুলিশের অনুমতি না থাকায় ফিরে যান আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।

কিন্তু পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় এবং এলাকায় 144 ধারা জারি থাকায় বিজেপির মিছিল কিছুদূর যেতে না যেতেই আটকে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। আর তারপরই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি নেতৃত্ব। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে “হিটলার” বলে অভিহিত করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেশদ্রোহী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি অপরাধীদের বাচাতে রাস্তায় নামতে পারেন, কিন্তু শরণার্থীদের জন্য একবারও তার আন্দোলনের সময় হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক কিছুই মানেন না। কিন্তু তা বলে কি কিছু আটকেছে! নাগরিকত্ব আইন ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ইতিহাস বিকৃত করেছেন। 1905 সালে বঙ্গভঙ্গ হয়েছে। আর উনি বলছেন 2003 সালে বঙ্গভঙ্গ হয়েছে। উনি তো আসলে শাড়ি পড়া হিটলার। স্বৈরাচারী। উনি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য লড়াই করছেন। কারণ ওরাই তো তৃণমূলের ভোটব্যাংক।” বিশ্লেষকরা বলছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হলেও এবং তাতে রাষ্ট্রপতি সই করে দিলেও, তার বিরোধিতায় সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

বিজেপির দাবি, এই আইনে অনুপ্রবেশকারীদের শায়েস্তা করা হবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেস এর বিরোধিতা করায় এবার সেই তৃণমূলকে “দেশদ্রোহী” বলে আখ্যা দিতে দেখা যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। আর দিলীপ ঘোষ তার মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে, অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাঙ্ক তৃণমূলের বড় সম্পদ। কিন্তু দিলীপ ঘোষ এইসব মন্তব্য করে তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেললেও, ঘাসফুল শিবিরের তরফে কি প্রতিক্রিয়া আসে! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!