এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > CAA-ই কি করে দেবে একুশের ফয়সালা? প্রচার-পাল্টা প্রচারে ‘কনফিডেন্ট’ তৃণমূল-বিজেপি দু-পক্ষই

CAA-ই কি করে দেবে একুশের ফয়সালা? প্রচার-পাল্টা প্রচারে ‘কনফিডেন্ট’ তৃণমূল-বিজেপি দু-পক্ষই


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কি এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সবথেকে বড় হাতিয়ার হয়ে দাঁড়াতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে? জানা গেছে, বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে প্রচারে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি। যেখানে সাধারন মানুষের মধ্যে কাউকে কাউকে এই নাগরিকত্ব আইন সমর্থন করতে দেখা গেলেও, কেউ কেউ বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন।

যার জেরে সাধারন মানুষের মন বুঝে এখন থেকেই ভোটের অংক কষতে শুরু করে দিয়েছে শাসক থেকে বিরোধী। একাংশ বলছেন, জমির পাট্টা, ভোটাধিকার সবকিছু থাকার পরেও কেন নতুন করে নাগরিকত্ব নিতে হবে! আবার অন্য পক্ষ বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যখন আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে কাউকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে না, তখন এই নাগরিকত্ব আইন করে নিতে সমস্যা কোথায়! স্বাভাবিকভাবেই কুপার্স ক্যাম্প এলাকায় এখন এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে বিজেপি এবং বিপক্ষে তৃণমূল জোরদার প্রচার চালাতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 1950 সালে রানাঘাট শহরের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই কুপার্স ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে ওপার বাংলা থেকে দেশভাগের আগে এবং পরবর্তীতে প্রচুর মানুষ উদ্বাস্তু হিসেবে এই ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। মানুষের সঠিক ভাবে আশ্রয় না থাকার কারণে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার এই কুপার্স ক্যাম্প তৈরি করে। যেখানে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও পাট্টা, দলিল প্রদান করা হয় সাধারণ মানুষকে।

তবে এখন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই কুপার্স ক্যাম্প এলাকায় তৃণমূল চেষ্টা করছে বিজেপির বিরুদ্ধে জনমত তৈরী করতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে হাতিয়ার করার। অন্যদিকে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে হাতিয়ার করেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যার জেরে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোলের সৃষ্টি হয়েছে।

কিন্তু এই ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মতামত কি? এদিন এই প্রসঙ্গে প্রবীণ বাসিন্দা রাজেন্দ্রনাথ ব্যাপারি বলেন, “ওপার বাংলা থেকে আমরা অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে এখানে নাগরিকত্ব পেয়েছি। তাহলে আবার কেন আমাকে লাইনে দাঁড়িয়ে আবেদন করে বলতে হবে, আমি উদ্বাস্তু শরণার্থী! আমাকে নাগরিকত্ব দেওয়া হোক।” অন্যদিকে এই নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন 7 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাচ্চু মালি‌। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের মধ্যে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তবে এই বিষয়ে ইতিমধ্যে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে জোর তরজা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কুপার্স শহর তৃণমূল সভাপতি দিলীপ দাস বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খুব স্পষ্ট করে বিষয়টি বলে দিয়েছেন। আমরা দেশের নাগরিক। আমাদের নতুন করে নাগরিক হওয়ার প্রয়োজন নেই। আর আমরা যদি নাগরিক না হই, তাহলে প্রধানমন্ত্রী কাদের ভোটে নির্বাচিত হলেন! আসলে ওরা চাইছে নাগরিকত্বের ভয় দেখিয়ে ভোট লুট করতে। আমরা সেটা হতে দেব না।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে কুপার্স শহর বিজেপির সভাপতি দীপক দে বলেন, “তৃনমুল ধোঁকাবাজি করছে কুপার্সের 100% উদ্বাস্তু বাসিন্দারা জানেন, এই আইন পাস হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু কার্যকর করা বাকি। তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তৃণমূল ভুল বোঝালেও কোনো কাজ হবে না।” সব মিলিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস বাকি থাকলেও, এখন থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে নিয়ে রীতিমতো তরজা তৈরি হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। সব মিলিয়ে ভোটবাক্সে এর কি প্রতিফলন পড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!