এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সিএএর বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েও মমতাকে কটাক্ষ হেভিওয়েট নেতার, জোর শোরগোল!

সিএএর বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েও মমতাকে কটাক্ষ হেভিওয়েট নেতার, জোর শোরগোল!


 

দীর্ঘ 34 বছর ধরে বাংলার শাসন ক্ষমতা সামলেছেন তারা। তবে এখন তাদের বিরোধী আসনেই বসতে হচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে, ততই কার্যত অস্তিত্ব হারিয়ে যেতে বসেছে বামেরা। তবে এই পরিস্থিতিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করতে শুরু করেছেন সেই বাম শিবিরের নেতা কর্মীরা। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে কটাক্ষের পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকেও এবার কটাক্ষ করতে দেখা গেল বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীকে।

তবে এর অস্বাভাবিক কিছু না থাকলেও, যখন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন বিরোধী হিসেবে তার প্রতিবাদকে যেভাবে প্রশ্নের সম্মুখীন করলেন সুজন চক্রবর্তী, তাতে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব নিয়ে উঠতে শুরু করল প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর পিংলা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির প্রকাশ্য সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুজন চক্রবর্তী। আর সেখানেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তুলোধোনা করেন তিনি।

রাজ্যের বাম পরিষদীয় দল নেতা বলেন, “কেন্দ্রের সরকার আম্বানি আদানিদের। সাধারণ মানুষের নয়। এদের কারণে দেশের মুষ্টিমেয় কিছু লোকের হাতে সম্পদের পাহাড়। এই সরকারই আবার বলছে, এতদিন বসবাসের পর আমাদের নাকি এদেশের নাগরিক কি না, তা প্রমাণ করতে হবে। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র দেখাতে পারেননি, সেখানে আমরা নিজেদের কাগজ দেখাতে যাব না। আমরা যদি বেনাগরিক হই, তাহলে বেনাগরিকদের ভোটে জিতে গদি আকড়ে রয়েছেন কেন! সেটাও তো বেআইনি। হিম্মত থাকলে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে গদি থেকে নেমে নাগরিকত্বের হিসেব কষে গদি জিতুন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

এদিকে এদিনের সভা থেকে এনআরসি ও সিএএর বিরোধিতা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে দেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদের নাম করে ঘন্টা বাজাচ্ছেন। এটা যেন ছেলেখেলা। আসলে পুরোটাই নাটক। ওনারা এখানে প্রতিবাদের নামে কাকা করছেন, আর দিল্লিতে গিয়ে পায়ে ধরে বাবা বলছেন।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী একদিকে এনআরসি ইস্যুতে বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন, আর অন্যদিকে এনআরসির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন। অর্থাৎ তিনি নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরতে চাইলেন, বামপন্থী ছাড়া মানুষের কাছে আর বিকল্প কোনো পন্থা নেই। এদিকে এদিনের এই সমাবেশ থেকে শিক্ষকদের সমস্যা নিয়েও রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন সুজন চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, “দেশের মধ্যে সবথেকে কম সম্মান এবং সাম্মানিক পান এই রাজ্যের শিক্ষকরা। তাদের লড়তে হচ্ছে নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে। অন্যদিকে অনুচিত স্থানে বেতন বাড়িয়ে ইচ্ছেমত শাসন করছেন মুখ্যমন্ত্রী।” সব মিলিয়ে এনআরসি হোক বা শিক্ষকদের বেতন সংক্রান্ত ইস্যু। সব ক্ষেত্রেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!