এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > অশান্তি রুখে সিএএ প্রতিবাদকে উচ্চগ্রামে নিয়ে যেতে দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেই বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের

অশান্তি রুখে সিএএ প্রতিবাদকে উচ্চগ্রামে নিয়ে যেতে দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেই বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের

সম্প্রতি সংসদের দুই কক্ষে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর পড়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে। যার পরেই সেই বিল আইনে পরিণত হয়ে গিয়েছে। আর এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই তাদের প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তৃণমূলের প্রচারকে রুখে দিতে এই আইনের স্বপক্ষে পাল্টা প্রচার করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যেই দলের জন্মদিন পয়লা জানুয়ারিতে “নাগরিকত্ব দিবস” হিসেবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে রাজ্যের প্রতিটি জেলার মধ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের স্বপক্ষে সবথেকে বেশি প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপিকে। যা এই আইনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের বিরোধিতাকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। সেদিক থেকে স্বপক্ষে থেকে বিজেপির লড়াই, তৃণমূলের বিপক্ষের লড়াইকে পিছিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আর এমতাবস্তায় দলের প্রতিষ্ঠা দিবসকে সামনে রেখে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে বুথে বুথে এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা নিল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, শুক্রবার কলকাতায় তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা নেতৃত্বকে এনআরসি বিরোধী প্রচার করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব।

পাশাপাশি এলাকায় যাতে কেউ গুজব ছড়িয়ে কোনো রকম অশান্তি তৈরি না করতে পারে, সেজন্যও দলের নেতাকর্মীদের নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা গুজব ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনের পথে হাঁটার কথাও বলা হয়েছে। আর রাজ্য নেতৃত্বের এই নির্দেশ পেয়েই, এখন দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে জেলার প্রতিটি বুথে এনআরসি বিরোধী প্রচার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপির প্রচারকে দমিয়ে দিয়ে নিজেদের প্রচারকে শিরোনামে আনার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে আগামী 23 তারিখ গঙ্গারামপুর এবং 24 তারিখ বালুরঘাটে এনআরসি বিরোধী মিছিল করার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। আর তারপর দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পয়লা জানুয়ারিতে বুথে বুথে সিএএর বিরুদ্ধে দলের নেতাকর্মীদের আন্দোলন করার নির্দেশ দিয়েছে তারা।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ পেয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ বলেন, “সিএএ বা এনআরসির বিরুদ্ধে আগামী দিনে আমরা লাগাতার আন্দোলনে নামতে চলেছি। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে আগামী 23 ও 24 ডিসেম্বর গঙ্গারামপুর এবং বালুরঘাটে মহামিছিল করা হবে। পয়লা জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে আমরা আন্দোলন করব। সকল কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জেলায় কোনোভাবেই যাতে কেউ গুজব না ছড়ায়। কেউ গুজব ছড়ালে সেই এলাকায় গিয়ে কর্মীরা মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক শিবির করবে। পাশাপাশি যে গুজব ছড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কর্মীরা আইনের দ্বারস্থ হবেন। কোনোভাবেই জেলায় অশান্তি তৈরি করতে দেব না।”

তবে তৃণমূল এই কর্মসূচি নিলেও তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি বিনয় বর্মন বলেন, “সিএএর সমর্থনে আমরা যেভাবে কর্মসূচি করছি, তাতে তৃণমূলের পায়ের মাটি সরে গিয়েছে। তাই তারা আমাদের অনুসরণ করছে মানুষ আমাদের পাশে রয়েছে। তৃণমূলের এসব ভুয়ো কথাবার্তা কেউ শুনবে না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপির সভাপতির এহেন দাবি কিছুটা হলেও সত্যি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসির বিরুদ্ধে জোর প্রচার করলেও, সেভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস প্রচারে নামতে পারেনি। তবে সেদিক থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে এনআরসির স্বপক্ষে প্রচার চালিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছাতে শুরু করেছে। আর তাতেই চাপে পড়েছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।

যার জেরে বিজেপির প্রচারকে দমিয়ে দিতেই তৃণমূলের বুথস্তরে এই প্রচারের কৌশল বলে মত একাংশের। কিন্তু বিজেপি যেভাবে আগেভাগে এনআরসির স্বপক্ষে প্রচার শুরু করেছে, তাতে দেরি করে প্রচার শুরু করায় কতটা লাভবান হবে তৃণমূল! সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!