এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সিএবি নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলতে জেলায় জেলায় মিছিল তৃণমূলের! পাল্টা ঝড় তুলতে মরিয়া বিজেপিও

সিএবি নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলতে জেলায় জেলায় মিছিল তৃণমূলের! পাল্টা ঝড় তুলতে মরিয়া বিজেপিও

 

সংসদে নাগরিকত্ব বিল পেশের পর তা আইনে রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছে। আর এই নাগরিকত্ব বিল আইনের রূপ পাওয়ার পরেই গোটা বাংলা জুড়ে চলতে শুরু করেছে বিক্ষোভের আগুন। বিক্ষোভকারীরা ট্রেন, বাস অবরোধ করে কোথাও বাস স্টেশন পুড়িয়ে দিয়েছে। যার ফলে সেই বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করছে। তবে প্রথম থেকেই নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা করলেও, এই অগণতান্ত্রিক বিক্ষোভ থামাতে আবেদন জানাতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

 

গণতান্ত্রিক উপায়েও যে আন্দোলন করা যায়, তার জন্য নিজের দলকে প্রস্তুত হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। আর নেত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরই রবিবার কোচবিহার থেকে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তৃণমূল এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও পাল্টা এই বিলের স্বপক্ষে ময়দানে নামতে দেখা যায় ভারতীয় জনতা পার্টিকেও।

সূত্রের খবর, রবিবার সকালে কোচবিহারের শুটকাবাড়িতে কোচবিহার- মাথাভাঙ্গা রাজ্য সড়কের ওপর বিলের বিরুদ্ধে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। অন্যদিকে বিকেলে কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে একটি প্রতিবাদ মিছিল সংঘটিত করা হয়। যে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী।

যেখানে মিহিরবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে এদিন মিছিল করা হয়েছে। মিছিলের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভাজন ও দেশবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। মাথাভাঙ্গায় এদিন সকালে রাস্তার উপরে টায়ার জ্বালিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে।”

এদিকে এই বিলের সমর্থন করে দিনহাটায় মিছিল করতে দেখা যায় ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বদের। যে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রাভা রায়, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক সহ অন্যান্যরা। দিনহাটা স্টেশন থেকে শুরু হওয়া মিছিল শেষ হয় সেই স্টেশন এলাকায় গিয়ে।

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “এটা মানুষের নাগরিকত্ব হরণ করার জন্য নয়। দীর্ঘদিন ধরে ওপার বাংলা থেকে যারা পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষে এসেছেন, যারা এখনও নাগরিকত্ব পাননি, তাদের নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার জন্যই এই আইন। এই আইনের মাধ্যমে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্য কিছু লোক উস্কানিমূলক মন্তব্য করে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে দিনহাটার সিতাইয়ে তৃণমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার নেতৃত্বে এই নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করা হয়। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কুশপুতুল পোড়ানো হয়। একইভাবে মাথাভাঙ্গা 1 ব্লকের হাজরাহাট 2 গ্রাম পঞ্চায়েত এই বিলের বিরুদ্ধে মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলিজার রহমান বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের বেআইনি এবং অসাংবিধানিক নীতির বিরুদ্ধে মহকুমা জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।” অন্যদিকে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে সেই বিলের কপি পুড়িয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় ভারতের জাতীয় কংগ্রেসকেও।

তবে শুধু কোচবিহার জেলা নয়, এদিন কালচিনি থেকে হ্যামিল্টনগঞ্জ পর্যন্তও এই বিলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি মিছিল আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন, তৃণমূলের চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি মোহন শর্মা, কালচিনি ব্লক তৃণমূল সভাপতি অসীম মজুমদার সহ অন্যান্য তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে সাহেবপোঁতা থেকে সোনারপুর পর্যন্ত এই নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলে পা মেলাতে দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীকে। একইভাবে শিলিগুড়িতে এদিন কেন্দ্রের এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠে ঘাসফুল শিবির।

সূত্রের খবর, নকশালবাড়িতে যুব তৃনমূলের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত হন দার্জিলিং জেলার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি বিকাশ সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।সব মিলিয়ে নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ করতে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমে পড়ল তৃণমূল তৃণমূল। কিন্তু তৃনমূলকে দমাতে এই বিলের স্বপক্ষে পাল্টা ময়দানে নেমে পড়ল গেরুয়া শিবির। তবে শেষ পর্যন্ত প্রচার-পাল্টা প্রচারে কার জয় হয়, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!