এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > সুস্থ থাকতে নিত্যদিন কতটা প্রয়োজন ক্যালসিয়াম? কোন কোন খাদ্য বাঁচাতে পারে অস্টিওপোরোসিসের হাত থেকে?

সুস্থ থাকতে নিত্যদিন কতটা প্রয়োজন ক্যালসিয়াম? কোন কোন খাদ্য বাঁচাতে পারে অস্টিওপোরোসিসের হাত থেকে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল আমাদের শরীরের ওজনের ২% রয়েছে শুধু ক্যালসিয়াম। স্নায়ুতন্ত্র থেকে পাচনতন্ত্র কিংবা হূদযন্ত্রের কাজ সঠিকভাবে করার জন্য ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি কোষে কোষে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এই ক্যালসিয়ামের।

তবে ক্যালসিয়াম সবচেয়ে বেশি মাত্রায় আমাদের শরীরে থাকে আমাদের দাঁত এবং হাড়ের মধ্যে। ক্যালসিয়ামের এই বহুল চর্চিত ব্যবহারগুলো ছাড়াও আমাদের শরীরে ছাড়াও আমাদের শরীরে রক্ত তঞ্চন ক্ষমতা, পেশী সংকোচন, হরমোন এবং স্নায়ুর কাজেও ক্যালসিয়াম এর ভূমিকা ভূমিকা এর ভূমিকা ভূমিকা এর ভূমিকা ভূমিকা রয়েছে।

তবে ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরে তৈরি হয় না না হয় না না হয় না না ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা মেটানোর জন্য আমাদের নির্ভর করতে হয় খাদ্য এবং পানীয় এর উপর। আমাদের রক্তপ্রবাহে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে হাড়ের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়ামের ক্ষয় হয় এবং সেই ক্ষয় হওয়া ক্যালসিয়াম রক্তের সাথে মিশেতে থাকে।

তাই রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়া হাড়ের ক্ষয়ের জন্য দায়ী। দীর্ঘ সময় ধরে হাড়ের ক্ষয় চলতে থাকলে অস্টিওপরোসিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা এবং বর্তমানকালে অস্টিওপরোসিস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মাঝবয়সী থেকে ষাটোর্ধ্বদের মধ্যে।

শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতিজনিত নানান ধরনের সমস্যা এড়িয়ে চলার জন্য ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া জরুরি। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে ক্যালসিয়াম প্রত্যেকদিন খাদ্যের সাথে গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে প্রত্যেক দিন ১০০০ মি:গ্রা: এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ১২০০ মি:গ্রা: ক্যালসিয়াম দৈনিক গ্রহণ করা প্রয়োজন। একজন টিনেজার এর ক্ষেত্রে তার বৃদ্ধির জন্য দৈনিক ১৩০০ মি:গ্রা: ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন।

দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্যের তালিকা দেওয়া হল,

(১) দূধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য: যেমন দই, পনির, চিস, লস্যি ইত্যাদি। এক কাপ দুধে প্রায় ৩০০ মি:গ্রা: ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

(২) মাছ: ক্যালসিয়ামের আরেকটি সমৃদ্ধ উৎস হল মাছ বিশেষ করে চুনো মাছ যার কাটা আপনি চিবিয়ে খেতে পারবেন।

(৩) পাতা যুক্ত সবজি: ব্রকলি কেল পালং শাক বাঁধাকপি বকচয় এই ধরনের বেশকিছু সবজিতে সবজিতে বেশকিছু সবজিতে সবজিতে ধরনের বেশকিছু সবজিতে সবজিতে বেশকিছু সবজিতে সবজিতে যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে দৈনিক চাহিদা পূরণের জন্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

(৪) ওটস: ক্যালসিয়ামের আরেকটি উল্লেখযোগ্য উৎস হল ওটস। একবারটি ওটস ১০০- ১৫০ মি:গ্রা: ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে আমাদের শরীরে।

(৫) কমলালেবু: আমরা সকলেই জানি কমলা লেবু ভিটামিন সি এর এর ভিটামিন সি এর এর একটি অন্যতম উৎস। তবে শুধু ভিটামিন-সি নয় কমলালেবু ক্যালসিয়ামের একটি একটি অন্যতম উৎস। এক গ্লাস কমলালেবুর রস ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।

(৬) তিলের দানা: ক্যালসিয়ামের একটি অন্যতম উৎস প্রতি ১০০ গ্রাম চিলের ডানায় ৯৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। নিজের খাদ্যতালিকায় তিল রাখা উচিত ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটানোর জন্য।

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ভেষজ, ড্রাই ফ্রুট, সয় মিল্ক ইত্যাদি নানান খাদ্যে যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে। তবে খাদ্যের সাথে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করলেও, তা শরীরের কোষ গুলিতে শোষণের জন্য ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন ডি এর উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন ভিটামিন ডি এর এর অভাবে শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ ক্ষমতা কমে যায়, তাই খাদ্যের সাথে গ্রহণ করলেও সেই ক্যালসিয়াম আপনার শরীরে কাজে লাগবে না।

তবে বিশেষ দ্রষ্টব্য যে ক্যালসিয়াম কিন্তু অত্যধিক মাত্রায় শরীরে কখনোই গ্রহণ করা উচিত না। এর ফলে কিডনিতে স্টোন সহ আরও অন্যান্য নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই চিকিৎসকের যথাযথ পরামর্শ অনুযায়ী আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন ক্যালসিয়ামকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!