এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকে আর ডাকই পাচ্ছেন না হেভিওয়েট মন্ত্রী! শোরগোল তৃণমূলের অন্দরে

প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকে আর ডাকই পাচ্ছেন না হেভিওয়েট মন্ত্রী! শোরগোল তৃণমূলের অন্দরে

সামনেই পৌরসভা নির্বাচন। আর সেই পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের তরফে কারা প্রার্থী হবে, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। অনেকেই ভাবছেন, এবার তৃণমূল স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ব্যক্তিদেরই কাউন্সিলারের টিকিট দেবে। কেননা গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি দুর্নীতির কারণে শাসকদলের ফলাফল খারাপ হয়েছিল। আর তাই সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার দলকে ভালোভাবে শৃংখলায় বাধতে চাইছেন। যার ফলে পৌরসভা নির্বাচনে ভালো ব্যক্তিদের টিকিট দিতে পারে তৃনমূল বলে দাবি একাংশের।

তবে এই পরিস্থিতিতে যখন পৌরসভা নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে, ঠিক তখনই সেই নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে বসবেন তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এই বৈঠকে তৃণমূলের জেলা থেকে শহরের নেতারা থাকলেও, হেভিওয়েট মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুপস্থিতি নিয়ে তৈরি হল বিতর্ক। সূত্রের খবর, বুধবার কোচবিহার পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে চৌপথি সংলগ্ন একটি হোটেলে তৃণমূলের নেতারা একটি বৈঠক করেন।

যেখানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা তৃণমূল সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ বর্মন, কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী, কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান ভূষন সিং সহ অন্যান্যরা। কিন্তু এই বৈঠকে জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকলেও রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মতন নেতার অনুপস্থিতি, এখন নানা মহলে নানা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পৌরসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না হলেও কেন তৃণমূল নেতৃত্ব এভাবে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করল! তাহলে কি রাজ্য থেকে তাদের কাছে কোনো নির্দেশ এসেছে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, পৌরসভা নির্বাচনে কোচবিহার পৌরসভা দখল করা এখন তৃণমূলের কাছে প্রেস্টিজফাইট। কেননা লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল পর্যদুস্ত হয়েছে।তাই এবারে পৌরসভা দখল করে, তারা বিজেপিকে কুপোকাত করতে চাইছে বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। আর সেদিক থেকে এখন থেকেই নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে, কাকে কোন ওয়ার্ডে প্রার্থী করা যায়! তার জন্য আলোচনা করে নিল তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করছে একাংশ। কিন্তু কেন এই বৈঠকে উপস্থিত থাকলেন না রবীন্দ্রনাথ ঘোষ?

এই প্রসঙ্গে রবিবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এইধরনের কোনো বৈঠক হয়েছে বলে আমি জানি না।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, “আমরা আগামী দিনে কোচবিহার পৌরসভায় কি পদ্ধতিতে লড়ব, সেই বিষয়ে জেলা সভাপতি রাজ্য নেতৃত্বের কাছ থেকে পাওয়া নির্দেশ জানিয়েছেন। তবে প্রার্থী তালিকা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে আলোচনা করার পর প্রার্থীর ব্যাপারে তালিকা তৈরি হবে। পরে তা রাজ্যে পাঠানো হবে।”

অন্যদিকে পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। তবে যে যাই বলুন না কেন, এত বড় বৈঠক হলেও, কেন সেখানে প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ডাক পেলেন না! তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!