এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রার্থীতালিকা প্রকাশ না হলেও জোর প্রচার শুরু দুই হেভিওয়েট বাম প্রার্থীর, শুরু বিতর্কও

প্রার্থীতালিকা প্রকাশ না হলেও জোর প্রচার শুরু দুই হেভিওয়েট বাম প্রার্থীর, শুরু বিতর্কও

লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট দিন দুয়েক আগে প্রকাশিত হয়ে গেলেও এখনো প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি বামফ্রন্ট। তবে আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার বামেদের তরফ থেকে লোকসভা ভোটের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার আগেই প্রচার কর্মসূচি নিয়ে নতুন বিতর্কে জড়ালো বামফ্রন্ট।

রায়গঞ্জে সিপিএমের প্রার্থী হিসাবে মহম্মদ সেলিম এবং বালুরঘাটে আরএসপি’র প্রার্থী হিসাবে রণেন বর্মনের নামে প্রচার শুরু হওয়ায় একগুচ্ছ প্রশ্নের মুখে পড়েছে দল। তাছাড়া দুই জেলার দুই শরিকের এই ধরণের আচরণে রীতিমতো অসন্তুষ্ট বামশরিকরা। দলকে আগের থেকে কিছু না জানিয়ে আরএসপি নেতা রণেন বাবুর নামে দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে এদওকে যেমন বালুরঘাটের সিপিএম ক্ষুব্ধ অন্যদিকে রায়গঞ্জে সিপিএমের সেলিম প্রচারে নেমে যাওয়ায় ব্যাপক চটে গিয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক।

দলীয় সূত্রের খবর,রীতিমতো ছক কষেই রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে বামফ্রন্ট প্রার্থী হিসাবে প্রচারে নেমেছেন মহম্মদ সেলিম। গতকাল হেমতাবাদে প্রচারের পর আজ কালিয়াগঞ্জে প্রচারে নেমেছেন তিনি। এভাবে জেলার কোন ব্লকে কোনদিন প্রচারে নামবেন তা স্থির করে ফেলেছে সিপিএম। এই প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। জেলায় কোনো শরিকদলের সঙ্গে আলোচনা না করে কীভাবে সিপিএম প্রচারে নামতে পারল? এভাবেই যদি মহম্মদ সেলিমের লোকসভা ভোটের প্রার্থী হওয়ার ছিল তাহলে প্রথমে একলা চলো মনোভাব দেখাল কেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাছাড়া আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থী ঘোষণার আগে রায়গঞ্জের সিপিএম কীভাবে প্রচারে নেমে গেল? এ প্রসঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা চাকুলিয়ার বিধায়ক আলি ইমরান রমজ (ভিক্টর) বলেন,’বামফ্রন্ট হিসাবে প্রার্থী ঘোষণা হলে সমস্ত আসনের ঘোষণা এক সঙ্গে হবে। এটাই রীতি। রায়গঞ্জ আসন নিয়ে যা হয়েছে তা হল কংগ্রেস ও সিপিএমের মধ্যে জোট নিয়ে টানাপোড়েনের প্রতিফলন। এটা নীতিগত ভাবে বামপন্থী আর্দশের বিরুদ্ধে। সিপিএম মতিগতি হারিয়েছে।’

অন্যদিকে,রণেন বাবুর প্রচার নিয়ে মুখ খোলেন সিপিএমের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাস। তাঁর বক্তব্য,প্রার্থী নিয়ে দলের বাকি সদস্যদের সঙ্গে কোনো আলোচনাই করেননি রণেনবাবু। তাছাড়া এখনো চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকাও প্রকাশিত হয়নি। গোটা ব্যাপারটাই কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যসরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ যা নির্দেশ দেবে সেই অনুযায়ীই দলের বাকি নেতা-কর্মীরা চলবে। একই বক্তব্য আরএসপির দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরীর। এ বিষয়ে তাঁদের কিছু করার নেই বলেই জানালেন তিনি। রণেনবাবু যেহেতু আগে আরএসপির সংসদ সদস্য ছিলেন। সেই ভেবেও তাঁর অনুগামীরা রণেনবাবুর নাম দেওয়ালে লিখে থাকতে পারেন বলেই মনে করছেন তিনি। এদিকে নিজের প্রচার সম্পর্কে সরব হলেন রণেনবাবুও। তাঁর বক্তব্য,তাকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী করা হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। দলের বেশ কিছু কর্মী অতিরিক্ত উৎসাহবশত এটা করেছে বলেই মনে করছেন তিনি। তবে রণেনবাবু যতোই বিতর্ক এড়াতে সাফাই দিক না কেন,গোটা বিষয়টা নিয়েই আপাতত বামশিবিরে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!