আজই প্রথম দুদফার জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে চলেছে বিজেপি, চমক থাকতে পরের দফাগুলিতে জাতীয় রাজ্য March 17, 2019 ১৯’এর লোকসভা ভোটে ২৩ আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা কয়েকমাস আগেই স্থির করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য দলীয় রণকৌশল ঠিক করতে দফায় দফায় বাংলায় সভাও করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। তৃণমূল চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করে প্রচার কর্মসূচিতে এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে। বামেদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকাও মোটামুটি ঠিক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারল না দিলীপ ঘোষেরা। দীর্ঘদিন ধরেই প্রার্থী নির্বাচন করা নিয়ে নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে বিজেপির। পশ্চিমবঙ্গের মোট ৪২ টি লোকসভা আসনের জন্যে বিজেপির প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ১৫ টি করে। এছাড়া দমদম,কৃষ্ণনগর, বাঁকুড়া,বিষ্ণুপুর,পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম,মেদিনীপুর,বালুরঘাটের মতো একাধিক কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে গড়ে প্রায় ৩০টি করে লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে গত দু বছরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রেকর্ড হয়েছে গেরুয়াশিবিরের,এমনটাই দাবী দিলীপ ঘোষেদের। আজই প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা বিজেপি ঘোষণা করতে পারে বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে কোন কেন্দ্র কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে এখনো। বিজেপি সূত্রের খবর,প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গে যে পাঁচটি আসনে ভোট রয়েছে সেগুলির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, রায়গঞ্জ কেন্দ্রগুলিতে প্রার্থী তালিকায় কোনো পরিবর্তন করা সম্ভাবনা খুবই কম। এ ব্যাপারে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা দলের পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত সহনেতা সুরেশ পূজারি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পক্ষে একটি জোরাল হাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভোট যত এগিয়ে আসছে, এই হাওয়ার বেগ তত বাড়ছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে লড়াই করতে চেয়ে প্রচুর আবেদন জমা পড়ার মধ্যে আশ্চর্যজনক কিছুই নেই। বরং গত দুটো লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে এটিই স্বাভাবিক।’ আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - উল্লেখ্য,অমিত শাহ বাংলায় এসে ভোটযুদ্ধ জয়ের যে রণকৌশল বাতলে দিয়েছিলেন তার মধ্যে অন্যতম ছিল উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন। কিন্তু এক একটি কেন্দ্রে একাধিক নাম প্রার্থী তালিকায় জমা পড়ায় চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। এরমধ্যে গত সোমবার দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বাংলার প্রতি কেন্দ্র পিছু তিনজন করে সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থীর নাম বিজেপি সভাপতির কাছে তুলে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহারা। কিন্তু তারপরেও অন্যান্য প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা বন্ধ হয়নি গেরুয়াশিবিরে। তবে উল্লিখিত আটটি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হওয়ার জন্যে এতো আবেদনপত্র জমা পড়ল কেন? এই প্রশ্নকে কেন্দ্র করে বেশ গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে। বিজেপির দাবী,পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যে বিজেপিকে কতোটা সমর্থন করছে তার প্রমাণ প্রার্থীতালিকায় মাত্রাতিরিক্ত ভীড়। তবে অমিত শাহের নির্দেশ মতোই লোকসভায় ১৮ টি আসনের উপরই বেশি গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে বিজেপি নেতারা। যার মধ্যে রয়েছে উল্লিখিত কেন্দ্র গুলো। মেদিনীপুর আসন থেকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিষ্ণুপুরে তৃনমূল থেকে আগত সৌমিত্র খাঁয়ের প্রার্থী হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া কৃষ্ণনগরের আসনটিতে বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের (জুলু) প্রার্থী পারেন বলেই আঁচ পাওয়া যাচ্ছে দলীয় সূত্রের খবরে। আপনার মতামত জানান -