এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার টিকিট কাটতে চলেছে এইসব দাপুটে তৃণমূল নেতার! চাঞ্চল্য শাসকদলের অন্দরে

এবার টিকিট কাটতে চলেছে এইসব দাপুটে তৃণমূল নেতার! চাঞ্চল্য শাসকদলের অন্দরে

অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়াতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সামনে পৌরসভা নির্বাচন এবং তারপরেই বিধানসভা নির্বাচন। অতীতের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল খুব একটা ভালো ফল না করলেও, পৌরসভা নির্বাচনে ভালো ফল করে তৃণমূল চাইছে, বিজেপিকে টেক্কা দিতে। তবে এবার বিগত নির্বাচনগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে, পিছিয়ে থাকা কাউন্সিলরদের টিকিট দেওয়া নিয়ে তীব্র সংশয় তৈরি হয়েছে তৃনমূলের অন্দরমহলে।

জানা গেছে, এবার কৃষ্ণনগর পৌরসভাকে বিরোধী-শূন্য করতে তৃণমূল তৎপর হয়ে উঠেছে। তাই যে সমস্ত ওয়ার্ডে বিগতদিনের নির্বাচনে খারাপ ফলাফল হয়েছিল, সেখানেই বেশি করে তৃণমূল নেতৃত্বরা গুরুত্ব দিতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অনেক কাউন্সিলর নিজের ওয়ার্ডে সংরক্ষণের জন্য দাঁড়াতে পারছেন না। কিন্তু তাদের ওয়ার্ড যদি সংরক্ষণের কোপে নাও পড়ত, তাহলে কি এই কাউন্সিলররা টিকিট পেতেন!

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত নির্বাচনের ফলাফলগুলি যদি দেখা যায়, তাহলে লক্ষ্য করা যাবে, এই পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের 10 নম্বর ওয়ার্ডে দুটি লোকসভা নির্বাচন এবং গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। এছাড়া প্রাক্তন কাউন্সিলর শিশির কর্মকারের 8 নম্বর ওয়ার্ডে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ব্যাপকভাবে পিছিয়ে পড়েছিল। একইভাবে 14 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বপন সাহার ওয়ার্ডেও দুটি লোকসভায় পিছিয়ে থাকতে হয়েছে তৃনমূলকে। 15 নম্বর ওয়ার্ডের দিলীপ দাস, 22 নম্বর ওয়ার্ডের অয়ন দত্তের ওয়ার্ডেও তৃণমূলের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়াও আরও বেশকিছু কাউন্সিলর রয়েছে, যাদের ওয়ার্ডের অবস্থা একেবারেই ভাল নয়। তাই বিগতদিনের নির্বাচনে যে সমস্থ তৃণমূলের কাউন্সিলররা তাদের ওয়ার্ডে দলকে জেতাতে পারেননি, তাদের টিকিট না দেওয়া নিয়ে নানা সংশয় তৈরি হয়েছে। এদিন এই ব্যাপারে তৃণমূল নেতা অসীম সাহা বলেন, “বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে পৌরসভা নির্বাচনের অনেকটাই পার্থক্য। এগুলো এক করলে চলবে না। কয়েকটি ওয়ার্ডে আমাদের সাংগঠনিক ঘাটতি ছিল। কিছু ওয়ার্ডে এখনও আছে। দ্রুত আমরা সেই জায়গাগুলো পরিস্থিতি ভালো করার দিকে এগোচ্ছি। পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল অনেকটাই ভালো হবে।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র বলেন, “আমি পরিষ্কার করে বলে যাচ্ছি, ভালো লাগুক, না লাগুক। একজনের উপর নির্ভর করে পৌরসভা ভোট হবে না। টিম করে ভোট হবে। কে প্রার্থী হবে, আমার দেখার দরকার নেই। আমাদের দলের মঙ্গল এটাতেই কোনো কাউন্সিলর মুখকে প্রজেক্ট করে আমাদের জিততে যাতে না হয়। দলের প্রতীকে জিততে হবে। যে ভালো সে এমনিই জিতবে।”

আর মহুয়া মৈত্র দলের মঙ্গলের জন্য ভালো ব্যক্তিকে প্রার্থী করার পক্ষে সওয়াল করায় দলে সুদিন যে ফিরবে, সেই ব্যাপারে আশাবাদী এখন প্রত্যেকেই। তবে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী বিগত দিনে যে সমস্ত কাউন্সিলর তৃণমূলের প্রতীকে লড়েছিলেন, কিন্তু তারা পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে দলকে জেতাতে পারেনি, সেই সমস্ত কাউন্সিলরদের ভবিষ্যৎ যে কার্যত অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে দিলেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!