প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল শাসক দল তৃণমূলের তীব্র গোষ্ঠীকোন্দল দেখা যায় ক্যানিংয়ের গোলাবাড়ি বাজার এলাকায়। প্রথমে, বচসা ও ধস্তাধস্তি চলে। পরবর্তীকালে চলে গুলি ও বোমার লড়াই। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। তৃণমূল শিবিরের দাবি, দুষ্কৃতীরাই গতকাল গন্ডগোল বাধায়। গতকাল তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এলাকায় এখনো আতঙ্কের পরিবেশ।

গতকাল ক্যানিংয়ে শাসকদল তৃণমূলের মাদার ও যুব সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে তীব্র গন্ডগোল বাঁধে। ক্যানিংয়ের গোলাবাড়ি বাজার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক সংঘর্ষ। প্রথমে শুরু হয় বচসা, ধস্তাধস্তি, যা পরে রূপ নেয় বোমাবাজি, গোলাগুলির। সমস্ত কিছু নিয়ে রণক্ষেত্রের রূপ নেয় গোলাবাড়ি বাজার এলাকা। এলাকার বেশকিছু দোকানে পর্যন্ত লুটপাট ও ভাঙচুর চলে। ঘটনায় গুলি লেগে ১৫ জন তৃণমূল কর্মী সহ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। একজন মহিলাও আহত হয়েছেন গতকালের ঘটনায়।

শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বারুইপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে গতকাল রাতে তল্লাশি চলে। গতকাল রাতে তল্লাশির পর আগ্নেয়াস্ত্রসহ হাসান মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গতকালের ঘটনায় আট জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আজ সকলকে আলিপুর আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে। এলাকায় যাতে নতুন করে আর অশান্তি না বাধে, তার জন্য বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

এলাকায় তীব্র নজরদারি চালাচ্ছে ক্যানিং থানার পুলিশ। কিন্তু এলাকার পরিবেশ এখনো থমথমে রয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, গতকালের এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোন যোগ নেই। দুষ্কৃতীরাই গতকাল গন্ডগোল পাকিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির কারণ থেকে গতকাল গন্ডগোল দেখা যায়। সকাল থেকেই গতকাল গোলাবাড়ি বাজার এলাকায় গন্ডগোল শুরু হয়েছিল, দুপুরবেলাতে যা তীব্র আকার ধারণ করে। গোলাবাড়ি অঞ্চলের উপ প্রধানের নেতৃত্বে যুব কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে, অভিযোগ উঠেছে।