এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সরকার খরচ কমাতে বললেও – জনপ্রতিনিধিরা নীলবাতি লাগানো ভাড়ার বিলাসবহুল গাড়িতেই ‘স্বচ্ছন্দ্য’ – বাড়ছে বিতর্ক

সরকার খরচ কমাতে বললেও – জনপ্রতিনিধিরা নীলবাতি লাগানো ভাড়ার বিলাসবহুল গাড়িতেই ‘স্বচ্ছন্দ্য’ – বাড়ছে বিতর্ক

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দ গাড়ি ছেড়ে ভাড়ায় বিলাসবহুল গাড়ি চড়ছেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং সহকারী সভাধিপতিরা। শুধু তাই নয়,মেন্টরের জন্যেও একটি বিলাসবহুল গাড়িও ভাড়া নেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদে,এমনটাই অভিযোগ।

জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতির জন্য বিলাসবহুল ভাড়া গাড়িতে নম্বর প্লেট এখনও না লাগলেও গাড়ির মাথায় নীলবাতি লাগানো হয়েছে। ওদিকে,জেলা পরিষদের মেন্টরের জন্যও একই ধরনের বিলাসবহুল গাড়ি ভাড়া নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই আনকোরা নতুন গাড়ি জেলা পরিষদে আসা শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের আওতাধীন জেলা পরিষদের আধিকারিকদের এইধরণে কার্যক্রম দেখে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে শাসক সহ বিরোধীমহলে।

লোকসভা ভোটের আগে শাসকদলের প্রতিনিধিদের এধরণের মানসিকতা সামনে আসায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে জোড়াফুল শিবির। তবে জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন,তাঁর পুরানো গাড়িটা খারাপ হয়ে যাওয়ায় সেটা গ্যারেজে রয়েছে। সেটা মেরামত হয়ে গেলেই তবে পরবর্তী গাড়ি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবেন তিনি।

অন্যদিকে,সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথের বক্তব্য,জেলা পরিষদের কাজে গতি আনার জন্যে দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করতে ভালো গাড়ির প্রয়োজন। সেইজন্যেই নতুন গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে। আর তাঁর গাড়িতে নীলবাতি প্রশাসন লাগিয়েছে। তাই এ ব্যাপারে তাঁর বিশেষ কিছু বলবার নেই।

প্রসঙ্গত,বিগত জেলা পরিষদের সভাধিপতি নূরজাহান বেগম জেলা পরিষদের কেনা নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার করতেন। এরজন্য পরিষদকে বাড়তি ভাড়া গুণতে হত না। তবে বিগত বোর্ডের সহকারী সভাধিপতি প্রায় ১৭ হাজার টাকা ভাড়ার বিনিময়ে একটি সাধারণ ভাড়া গাড়ি ব্যবহার করতেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বর্তমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং সহ সভাধিপতিকে নতুন নামী কোম্পানির গাড়ি দুটি ব্যবহার করার জন্যে প্রত্যেককে মাসে প্রায় ২৮ হাজার টাকা গুনতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় জ্বালানি খরচ তো রয়েইছে। জেলা পরিষদের তিন প্রতিনিধি ছাড়াও প্রতিনিধি নয় এমন একজনকে জেলা পরিষদের উন্নয়ন নিয়ে প্রচারমূলক কর্মসূচির জন্যে গাড়ি দেওয়ার কথা রয়েছে।

এই প্রেক্ষিতে বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়ে,জেলা পরিষদে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সেভাবে উন্নয়ন কিছু দেখা না গেলেও পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে করে এদিক ওদিক প্রায়শই ঘুরতে যান। জেলা পরিষদের এক কর্মীর বক্তব্য,শোরুম থেকে গাড়িগুলো এসেছে সবেমাত্র দু’সপ্তাহ হল। এখনো তাই নম্বর প্লেট লাগানো হয়নি গাড়িগুলোতে। তবে বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে চাইছেন না জেলা পরিষদের আধিকারিকরা।

উল্লেখ্য,গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৯ আসনবিশিষ্ট জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে তৃণমূল। তারপর থেকেই এলাকায় সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছে শাসকদল। বিরোধী শূন্য জেলা পরিষদে এক হেভিওয়েট সদস্যই এসবের নেপথ্যে সক্রিয় রয়েছেন। তাঁর মদতেই নাকি জেলা পরিষদের আধিকারিকরা দামী নতুন গাড়ি ভাড়া নিতে বাধ্য হয়েছেন। স্থানীয়দের এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে লোকসভা ভোটের মুখো নতুন বিতর্ক তৈরি হল। এখন এই পরিস্থিতিতে বিতর্ককে ছাইচাপা দিতে শাসকদল কী ভূমিকা নেয় সেটাই দেখার!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!