এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলায় গেরুয়া ঝড় তুলতে গিয়ে এবার কি বড়সড় বিপাকে পড়তে চলেছেন কৈলাশ-মুকুল জুটি? জানুন বিস্তারে

বাংলায় গেরুয়া ঝড় তুলতে গিয়ে এবার কি বড়সড় বিপাকে পড়তে চলেছেন কৈলাশ-মুকুল জুটি? জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচন থেকেই বাংলায় ক্রমশ গেরুয়া ঝড় প্রবল করে চলেছেন বিজেপির হাই-প্রোফাইল জুটি কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়। ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর, সম্প্রতি মুকুল রায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। আর তারপরেই যেন ঘাসফুল শিবিরে বিজেপির সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রাবল্য বহু পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি কলকাতায় যুব বিজেপির ডাকে নবান্ন অভিযান করা হয়। যুব বিজেপি ডাক দিলেও – বিজেপির হেভিওয়েট শীর্ষনেতৃত্ব এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। আর তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে থাকা পুলিশ দপ্তর একের পর এক মামলা করে চলেছেন এই সকল হেভিওয়েট বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে।

ইতিমধ্যেই,কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের মতো প্রবীণ নেতাদের বিরুদ্ধে শুক্রবার মহামারী রোগ আইনের দাঙ্গা ও লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিজেপির নবান্ন অভিযান চলাকালীন বৃহস্পতিবার কলকাতা ও হাওড়ার রাস্তায় বিজেপি কর্মীদের পুলিশের সাথে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছিল।

এই প্রসঙ্গে, শুক্রবার এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে, পুলিশ বিজেপি প্রধান দিলীপ ঘোষ, জাতীয় সচিব অরবিন্দ মেনন এবং সাংসদ অর্জুন সিং এবং লকেট চ্যাটার্জিদের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জমায়েত, দাঙ্গা, জনসাধারণের সম্পত্তি ধ্বংস করা, ফৌজদারি বাধা ও সরকারী কর্মচারীদের উপর হামলা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, এই নেতাদের উপর আরোপিত কিছু ধারা জামিনযোগ্যও নয়। এই প্রসঙ্গে এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি। যদিও এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করছে। বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন যে তাঁর বিরুদ্ধে এই প্রথম মামলা হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেছিলেন, “আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা কিছু মামলা অযৌক্তিক। এমনকি অরফ্যান হোম থেকে শিশুদের বিদেশে পাঠানোর অভিযোগও আমার বিরুদ্ধে রয়েছে। (বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতি) মুকুল রায়ের বিরুদ্ধেও একই রকম মামলা রয়েছে।” বিজেপির এই প্রবীণ নেতা দাবি করেছেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে হত্যার মামলা সহ প্রায় ৫০-৫৫ টি মামলা রয়েছে এবং অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে ১০০ টিরও বেশি মামলা রয়েছে।

“মিথ্যা মামলা দায়েরের এই ষড়যন্ত্র (মুখ্যমন্ত্রী) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি পুরানো পুলিশ কৌশল”, বলে তিনি দাবি করেছিলেন। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় আরও দাবি করেছেন যে, রাজ্যে প্রায় ১১৫ জন বিজেপি কর্মী মারা গিয়েছেন এবং পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যায় পরিণত করেছে। এদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পুলিশের এই পদক্ষেপকে, ‘প্রতিশোধমূলক’ বলে অভিহিত করেছেন।

যদিও পুলিশের কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে, কোভিড -১৯ প্রোটোকলকে অমান্য করে বিজেপি বৃহস্পতিবার রাজ্য সচিবালয়ের পদযাত্রা করে। আইন না মেনেই কলকাতা ও হাওড়ার রাস্তায় কয়েক হাজার বিজেপি কর্মী জমায়েত করেছিল। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের দাবি, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে ‘অমানবিক’ পুলিশি পদক্ষেপে তাদের কয়েক ডজন দলীয় কর্মী আহত হয়েছেন।

কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র দাবি, বিজেপির শতাধিক সমর্থককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘনের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই আইনে শতাধিক লোকের সমাবেশ বা রাজনৈতিক সমাবেশে এর বেশি অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ করেছে। এদিকে রাজনৈতিক মহলের ধারণা – এই মামলায় ঘুম উড়তে পারে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের।

কেননা, মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনকে নিজের হাতের তালুর মত চেনেন। লোকসভা নির্বাচনেই তিনি দেখিয়েছেন, তিনি কিভাবে বিনামূলে ভাঙন ধরাতে পারেন। এখন সর্বভারতীয় পদ পেতেই, তিনি যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আগে আরও প্রবলভাবে ঝাঁপাবেন সেকথা বলাই বাহুল্য। আর বিজেপির আভ্যন্তরীন সমীকরণ অনুযায়ী তিনি কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র আবন্টন ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ফলে, এই দুই হেভিওয়েট নেতার ঘুম ওড়াতে এবার আসরে নামতে পারে মমতা ব্যানার্জির প্রশাসন বলে তীব্র জল্পনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!