এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় বড় মোড়, বড় অস্ত্র সিবিআইয়ের হাতে – জানুন বিস্তারিত

এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় বড় মোড়, বড় অস্ত্র সিবিআইয়ের হাতে – জানুন বিস্তারিত

এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলার তদন্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তৎপরতা রয়েছে সিবিআইয়ের অন্দরে। তবে ঠিক লোকসভা ভোটের মুখে এই মামলায় একধাপ এগলো সিবিআই। এবার এই মামলায় অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত পাঁচ সরকারি কর্মকর্তাকে বিচারের কাঠগড়ায় তুলতে কেন্দ্রের সবুজ সংকেত পেয়ে গেল সিবিআই গোয়েন্দারা।

এই পাঁচ কর্তার মধ্যে অন্যতম হল হলেন দু’জন প্রাক্তন অর্থসচিব প্রাক্তন অর্থসচিব অশোককুমার ঝা ও অশোক চাওলা। তাঁদের মধ্যে চাওলা বর্তমানে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। বিচারের প্রক্রিয়া কেন্দ্রের অনুমোদন পাওয়ার খবর চাউড় হতেই এনএসই চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন তিনি। এমনটাই তাঁর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গেলে এ ব্যাপারে এখনো তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এছাড়াও এই পাঁচ কর্তাদের তালিকায় রয়েছেন কর্মরত দুই আইএএস অফিসার কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ ও দীপককুমার সিং। এই তালিকায় পঞ্চম অফিসার হলেন প্রাক্তণ অর্থমন্ত্রকের সহকারী সচিব রাম শারন। এই পাঁচজন কর্তাই ২০০৬ সাল থেকে অর্থমন্ত্রকে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। নজর দেওয়ার মতো বিষয় হল,এয়ারসেল-ম্যাক্সিস চুক্তিতে দুর্নীতির মামলায় প্ৰাক্তন অর্থমন্ত্ৰী পি চিদম্বরম এবং তাঁর ছেলে কার্তিকে চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্ৰীয় তদন্ত ব্যুরো।

প্রসঙ্গত,ঘটনাটা ২০০৬ সালের অর্থাৎ তখন কেন্দ্রের ক্ষমতায় ইউপিএ সরকার। সেসময় টেলিকম সংস্থা এয়ারসেলে মালয়েশিয়ার সংস্থা ম্যাক্সিস কমিউনিকেশনের বিনিয়োগকে কেন্দ্র করে বেনিয়মের অভিযোগ বেশ সরগরম হয়ে ওঠে রাজনৈতিক আবহ। তদন্তে নেমে সিবিআই জানায়,সেসময়রের বিদেশি বিনিয়োগ আইন লঙ্ঘন করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের তালিকার এই পাঁচ কর্তাই তখন অর্থমন্ত্রকে কর্মরত ছিলেন।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়,বিদেশি বিনিয়োগ প্রসার বোর্ডের (এফআইপিবি) সদস্যও ছিলেন তাঁরা। অর্থ বিষয়ক সচিব পদে কর্মরত ছিলেন ঝা। চাওলা ছিলেন অতিরিক্ত সচিব পদে। এছাড়া যুগ্ম সচিব পদে ছিলেন কৃষ্ণ। বিদেশি বিনিয়োগে অনুমোদনের সমস্ত ক্ষমতা ছিল অর্থ বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির করায়ত্ত্বে। সিবিআইের বক্তব্য,এয়ারসেলে করা ম্যাক্সিমের বিনিয়োগের মোট পরিমান ছিল ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু তা মাত্র ১৮০ কোটি বলে দাবী করেছিল তৎকালীন অর্থমন্ত্রক। এবং তাতে অনুমোদন দিয়েছিলেন আবার ইউপিএ জামানার অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তবে অভিযোগ অবশ্য স্বীকার করেননি চিদাম্বরম।

উল্লেখ্য,রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে যেভাবে রাহুল-সোনিয়া গান্ধী মোদী বিরুদ্ধে দফায় দফায় আক্রমণ শানাচ্ছেন তাতে একরকম চাপেই পড়ে গিয়েছিল বিজেপি সরকার। শুধু রাফাল নয়,মোদীর বিরুদ্ধে নোটবন্দি,জিএসটি,মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি নানান ইস্যুকে হাতিয়ার বানিয়েছে কংগ্রেস।

ওদিকে সামনেই লোকসভা ভোট তার উপর সদ্য সমাপ্ত গোবলয়ের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের নজিরবিহীন সাফল্যে আত্মবিশ্বাসে আঘাত হেনেছে মোদী-শাহের। এই প্রেক্ষিতে কংগ্রেস দুর্নীতিগ্রস্থ এটা প্রমাণ করতে পারলে রাহুল গান্ধীর মনোবল অনেকটাই ভেঙে দেওয়া যাবে বলে মনে করছে বিজেপি।

এই প্রেক্ষিতে এয়ারসেল-ম্যাক্সিস চুক্তিতে দুর্নীতির মামলায় ইউপিএ জামানার অর্থমন্ত্রকে কর্মরতদের আদালতে টেনে নিয়ে যেতে পারলে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি পর্বে কংগ্রেসকে চাপে ফেলা সহজ হবে বলে মনে করছেন বিজেপির অভিজ্ঞমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!