এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সিবিআই আধিকারিককে ‘বিপাকে’ ফেলতে গিয়ে হাইকোর্টে মুখ পুড়ল কলকাতা পুলিশের!

সিবিআই আধিকারিককে ‘বিপাকে’ ফেলতে গিয়ে হাইকোর্টে মুখ পুড়ল কলকাতা পুলিশের!

এবার সিবিআই কর্তাকে চাপে ফেলতে গিয়ে হাইকোর্টেই হয়রানির শিকার হল কোলকাতা পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চিটফাণ্ড মামলার তদন্তকারী এক সিবিআই কর্তাকে কোলকাতা পুলিশের আবেদন মেনে রোজভ্যালি সংস্থা সম্পর্কিত যাবতীয় তদন্তের নথি অবিলম্বে পেশ করতে বলেছিলেন আলিপুর কোর্টের এসিজেএম পদমর্যাদার এক বিচারক। সেই আদেশই গতকাল খারিজ করে দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ। পাশাপাশি বিচারপতি এটাও জানিয়ে দিলেন,নিম্ন আদালত নিজস্ব বিচারবুদ্ধির প্রয়োগ না করেই নির্দেশটি দিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত,লোকসভা ভোটের মুখো সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৪৪ টি চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারিরর তদন্তকার্যে নেমেছে সিবিআই এবং এনফের্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর মধ্যে অন্যতম হল রোজভ্যালি সংস্থা। এই সংস্থারই একটি হোটেল এখনো চালু থাকায় বিক্ষোভ-আন্দোলনের পথে নামে রোজভ্যালিতে আমানতকারীরীদের একাংশ। বালিগঞ্জ থানায় অভিযোগও দায়ের করে তাঁরা। তারপরই কোলকাতা পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা সিবিআই কর্তাদোর ডেকে পাঠায়। এরমধ্যেই একজন বিনিয়োগকারী আলিপুর কোর্টে মামলা রজু করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তারপরই বিচারপতি সিবিআইকে রোজভ্যালি সংক্রান্ত তথ্য পেশ করতে বলে। শুধু তাই নয়,রোজভ্যালিতে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ-আন্দোলন সম্পর্কিত সিসিটিভি ফুটেজও আদালতে পেশ করতে বলা হয়। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করে সিবিআই। তারপরই গতকাল হাইকোর্টের বিচারপতি নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বলাবাহুল্য,এতে হাইকোর্টে হাসি চওড়া হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের।

অন্যদিকে,এই ঘটনার আগেই সারদা চিটফাণ্ড মামলার সূত্রে রাজ্য সরকার গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের তিন সদস্য অর্ণব ঘোষ, শঙ্কর ভট্টাচার্য ও দিলীপ হাজরাকে তলব করেছিল সিবিআই। গত বছরের ২০ নভেম্বর সিবিআইয়ের তরফ থেকে নোটিশ জারি করে ৬ নভেম্বর সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। এই তারিখ বিভ্রাটটি নজরে আসে ওই তিন অফিসারের।

তারপর তাঁরা এটাকেই হাতিয়ার করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে দাবী করে,শুধুমাত্র তাঁদের হেনস্থা করার লক্ষ্যে ইচ্ছে করে এরকম তারিখ বিভ্রাট তৈরি করেছে সিবিআই। স্বাভাবিকভাবেই সিবিআইয়ের সেই নোটিশে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। এদিন চূড়ান্ত রায়ে বিচারপতিও বলেন,”তারিখ পেরিয়ে যাওয়ায় এমনিতেই ওই নোটিসের কার্যকারিতা নেই। তাই মামলাটির নিষ্পত্তি করে দেওয়া হল। তবে সিবিআই মনে করলে নতুন করে নোটিস জারি করতে পারে।”

উল্লেখ্য,ওই তিন অফিসার সম্প্রতি আদালতে এমনটাই আবেদন করেছিলেন যে ৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী এখন যেন প্রাক্তন কোলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে গতকাল আদালত কোনো নির্দেশই দেয়নি। আদৌ হাইকোর্টে ওই তিন অফিসারের আবেদনে সম্মতি দেবে কিনা তা নিয়েও বেশ সংশয় তৈরি হয়েছে। যদি এক্ষেত্রে আদালত সিবিআইয়ের পক্ষে থাকে তাহলে হাইকোর্টে কোলকাতার তদন্তকারী অফিসাররা অস্বস্তিতে পড়বে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!