“আমাদের যা জানার ছিল তা জেনেছি। উনি সহযোগিতা করেছেন।” অত্রিকে নিয়ে দাবি সিবিআইয়ের – চাপ বাড়ছে প্রভাবশালীদের কলকাতা রাজ্য August 23, 2019 অতীতে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তাকে জেরার জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তখন তিনি সময় দিতে পারেননি। তবে অবশেষে সিবিআইয়ের মুখোমুখি বসলেন রাজ্যের পর্যটন সচিব অত্রি ভট্টাচার্য্য। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার দিনভর প্রবল গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। জানা যায়, অর্থলগ্নি সংস্থা চিটফান্ড সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন গ্রেপ্তার হওয়ার পর তারা টিভির দায়িত্ব রাজ্য সরকার নিয়েছিল। যার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে মঞ্জুর করা হয়েছিল। মোট ছয় কোটি টাকা রাজ্যের কাছ থেকে নিয়েছিল তারা টিভি। আর এই ঘটনাতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্ন যে, সরকার যখন সারদার কর্ণধারকে গ্রেপ্তার করে সেই চিটফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করছে, সেই সময়ে তাদেরই চ্যানেলকে কেন অর্থ সাহায্য করা হচ্ছে! জানা যায়, যখন তারা টিভিকে নিয়ে রাজ্য সরকার যখন এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ঠিক তখনই রাজ্যের তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ছিলেন এই অত্রি ভট্টাচার্য্য। ফলে তাকে জেরা করা নিয়ে অনেকদিন ধরেই সিবিআইয়ের অন্দরে প্রস্তুতি চলছে। অবশেষে বৃহস্পতিবার নব মহাকরণে রাজ্যের পর্যটন সচিব অত্রি ভট্টাচার্যের সরকারি কার্যালয়ে গিয়ে সিবিআই অফিসারেরা তার সঙ্গে প্রায় সোওয়া দুই ঘণ্টা ধরে কথা বলেন। কিন্তু এদিনের এই জেরাপর্বে অত্রি ভট্টাচার্য্যকে ঠিক কি কি প্রশ্ন করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা! সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারা টিভিকে অর্থ দেওয়ার ব্যাপারে অনুমোদন দিলেও তৎকালীন তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব অত্রি ভট্টাচার্য্য তার কি বিরোধিতা করেছিলেন! নাকি তিনিই সেই টিভি চ্যানেলকে অর্থ সাহায্যের প্রস্তাব লিখেছিলেন! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পাশাপাশি একটি চ্যানেলের ক্ষেত্রে এই নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল! নাকি অন্য চ্যানেলের ক্ষেত্রেও করা হয়েছিল! আর যদি তা অন্য চ্যানেলের ক্ষেত্রে করা না হয়, তাহলে তা কেন করা হয়নি! সেই প্রশ্নও এদিন পর্যটন সচিবকে করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা বলে জানা গেছে। আর দিনের শেষে তৎকালীন তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব তথা রাজ্যের বর্তমান পর্যটন সচিব অত্রি ভট্টাচার্য্যর সঙ্গে কথা বলে কার্যত খুশিই দেখা গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। এদিন এই প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের এক কর্তা বলেন, “আমাদের যা জানার ছিল, তা জেনে এসেছি। উনি সহযোগিতা করেছেন।” তবে এই ব্যাপারে অত্রি ভট্টাচার্যকে ফোন করলেও তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু অত্রি ভট্টাচার্যকে জেরা করে সিবিআই সন্তোষ প্রকাশ করায় তাহলে কি এবার এই ঘটনায় বড়সড় কারও হদিশ পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা! সিবিআইয়ের আধিকারিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাহলে কি গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য ফাঁস করে দিলেন রাজ্যের পর্যটন সচিব! সব মিলিয়ে অত্রি ভট্টাচার্য্যকে জেরার পর সিবিআই আধিকারিকরা সন্তোষ প্রকাশ করায় এখন চাপ বাড়তে শুরু করেছে প্রভাবশালীদের। আপনার মতামত জানান -