এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সিবিআই থেকে ভারতী ঘোষ – বড়মা থেকে বিজেপি- প্রধানমন্ত্রীর পাল্টা সভায় পাল্টা দিলেন ফিরহাদ হাকিম

সিবিআই থেকে ভারতী ঘোষ – বড়মা থেকে বিজেপি- প্রধানমন্ত্রীর পাল্টা সভায় পাল্টা দিলেন ফিরহাদ হাকিম


গত 3 ফেব্রুয়ারি কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হানা নিয়ে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সংঘাত চূড়ান্ত মাত্রায় পৌঁছয়। আর এই ঘটনাকে ঘিরে সিবিআইকে ফের “খাঁচাবন্দি তোতাপাখি” বলে অভিহিত করে বিরোধীদের প্রতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেন্দ্র সিবিআই লাগিয়ে দিয়ে হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

আর এবার গত 2 ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সভা করলে সেই ঠাকুরনগর থেকেই পাল্টা সভা করে এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে সুর চড়ালেন রাজ্যের তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরা। সূত্রের খবর, এদিনের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুরো ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুজিত বসু, ব্রাত্য বসু, নির্মল ঘোষ, নারায়ন গোস্বামী, পার্থ ভৌমিক সহ উত্তর 24 পরগনা জেলার শাসকদলের নেতা নেত্রীরা।

আর এই সভা থেকেই কেন্দ্রের গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দেগে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সিবিআই এখন বিজেপির ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন হয়ে গেছে। আমরা নেতাই, নন্দীগ্রামেও সিবিআই চেয়েছিলাম। কিন্তু কিছুই হয়নি। ওটা এখন খাঁচাবন্দি তোতা পাখি।” এদিকে এদিনের এই সভা থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষকে নিয়েও তীব্র সমালোচনার সুর শোনা যায় কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের গলায়।

তিনি বলেন, “যে পুলিশ অফিসার বিজেপিতে গেলেন উনি গদ্দিরের বন্ধু ছিলেন। এখন দেখছি পদ্ম ফুল ধরে উনি ধোয়া তুলসী পাতা হয়ে গেছেন।” অন্যদিকে কত 2 ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগরে সভা করে মতুয়া মহাসঙ্ঘের বড়মা বীণাপাণি দেবীর সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁকে প্রণাম করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন সেই ঘটনা নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী মহাজোট দেখে প্রধানমন্ত্রী ভয় পাচ্ছেন। আর কদিন পরেই ওনার নামের আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিখতে হবে। তাই এখন ভাবছেন বীণাপাণি দেবীর পা ছুলে হয়তো মতুয়াদের ভোট পাওয়া যাবে। এসব করে কোনো লাভ নেই। একদিনে সম্পর্ক গড়ে তোলা যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বীণাপাণি দেবীর সম্পর্ক যুগ যুগ ধরে রয়েছে।”

এদিকে এদিনের এই সভা থেকে মতুয়াদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা বলে কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “এখানে এসে মোদীবাবু শুধু ফাঁকা আওয়াজ ছেড়ে গেলেন। তাই উনি আসলেও বাংলায় বিজেপি হারবে, আর না আসলেও হারবে।”

এদিকে গত 2 ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা থেকে এদিনের তৃনমূলের সভায় রেকর্ড সংখ্যক মানুষ হয়েছে বলে যখন দাবি করছে শাসকদল, ঠিক তখনই তা নিয়ে পাল্টা শাসক দলকে কটাক্ষ করেছেন বারাসাত সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি বিপ্লব হালদার। সব মিলিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার মতুয়াদের ঠাকুরনগরে তৃনমূল এবং বিজেপির সভা পাল্টা সভায় উত্তপ্ত বঙ্গের রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!