এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কী লুকোতে চাইছেন ? পুলিশ কমিশনার নাকি নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন ? সিবিআই কাণ্ডেপ্রশ্ন তুললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা

কী লুকোতে চাইছেন ? পুলিশ কমিশনার নাকি নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন ? সিবিআই কাণ্ডেপ্রশ্ন তুললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা


রাজ্যে গতকাল সন্ধে থেকে সিবিআই কলকাতা পুলিশের চাপানউতোর শুরু হয়েছে। যার জেরে সিবিআই কর্তারা গ্রেস্টের হয়েছেন। আর পুলিশ কমিশিনের রাজীব কুমারকে জোর করে ফাঁসানো হচ্ছে, সিবিআই-কে দিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার মমতা সরকারকে বিপদে ফেলতে চাইছেন এই অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে গতকাল থেকে ধারণায় বসেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী , পাশে আছে পুলিশ কমিশনের,প্রশ্ন,তৃণমূলের নেতারা, নেত্রীরা।

আর রাজ্য পুলিশের এহেন আচরণে যে জল অনেক দূর গড়িয়েছে তা বলাই বাহুল্য। CBI আধিকারিকদের আটক করা নিয়ে বেজায় বিরক্ত কেনরে সরকার। আর এদিন সেই কথাই স্পষ্ট করলেন প্রকাশ জাওড়েকর। এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি প্রশ্ন তোলেন যে সৃঞ্জয়, সুদীপ, কুণাল, তাপস পালরা যখন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তখন ধরনায় বসেননি,তাহলে রাজীব কুমারের বেলায় কেন? সাথেই অভিযোগ তোলেন যে ‘বাংলায় সংবিধান ধ্বংস করা হয়েছে’।

সাথেই এদিন ইন্দিরা গান্ধীর ইমারজেন্সির সময় টেনে এনে বলেন যে, “ইন্দিরাজির ইমারজেন্সির সময় আমরা লড়েছিলাম। এখনও লড়ব আপনিও ইমারজেন্সি এনেছেন, মানুষ লড়বে। আপনাকে সরিয়ে দেবে – মমতাজি আপনাকে বলছি, ইন্দিরা গান্ধিও ইমারজেন্সি এনেছিলেন। মানুষ তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিল, এটাই তো গণতন্ত্রের হত্যা”।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথাও তোলেন। তৃণমূল নেত্রীর দিকে অভিয্যগের আঙ্গুল তুলে বলেন যে,৩৪ শতাংশ আনকনটেস্টেড থাকল। এটাই জয়-নির্বাচনই ঠিকমতো হতে দিল না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা ভাবুন ? কী হল ?রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় BJP কার্যকর্তাদের খুন করা হচ্ছে। কাউকে লড়তেই দিল না, এটা নাকি জয়।

এদিন অমিত সার সভা প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন যে, অমিত শাহর সভার পর জমি মালিক, ডেকরেটার্সকে গ্রেপ্তার করা হল। এটা তো ইমারজেন্সি ছাড়া অন্য কিছু নয়। এটা গণতন্ত্র ? বিশ্বাস করবেন ?
অমিতজি, যোগীজিদের সভা, যাত্রা হতে দিচ্ছে না। এদিন তিনি পরিষ্কার দাবি করেন যে, বাংলায় মমতার ইমারজেন্সি চলছে। অভিযোগ করেন যে, পুলিশকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন আর তারপরও তদন্ত আটকানোর চেষ্টা করছেন মমতাজি।

তিনি দাবি করেন যে গরিবের অভিশাপ আছে, ২০ লাখ মানুষের টাকা গেছে। তাই , ৪০ হাজার কোটি টাকার এই দুর্নীতি। ডাল মে কুছ কালা নেহি, এখানে ডালই কালা ,এই ক্ষমতা মমতাজির নেই।

সাথেই প্রধানমন্ত্রীর স্বপক্ষে বলেন যে, কংগ্রেস যেভাবে হোক মোদিকে জেলে পাঠাতে চাইত। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মোদিজি CBI-কে বাধা দেননি। আমি তো আশ্চর্য হচ্ছি, উনি মোদি সরকারকে গালাগালি দিচ্ছেন। তাই তো পুলিশ ও নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিটফান্ড দুর্নীতির সবকিছু যিনি জানেন তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী ধরনায় বসেছিলেন দেখলাম। তাঁর সঙ্গে কারা আছেন ? DG, ADG, পুলিশ কমিশনার। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এটা সংবিধানের হত্যা ছাড়া আর কী হতে পারে ? বলেও প্রশ্ন তুলেছেন এদিন।

এর পর তিনি বলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী কাল সাংবাদিক বৈঠকে দেশের পুলিশ, জওয়ান, BSF-কে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে উস্কাচ্ছিলেনমহগঠবন্ধন ডিভাইডেড বাই ভিশন, ইউনাইটেড বাই কোরাপশন এরা কারা ? কেউ বেল পেয়েছে, কারোর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে আজ দেখছি, একাধিক রাজনৈতিক দল মমতাকে সমর্থন করছেরাহুল গান্ধির দলই PIL করেছিল।মোদি সরকার তদন্তের নির্দেশ দেয়নি। সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে। এরপর তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, এর আগেও অনেক নেতা জেলে গেছেন, তাঁদের জন্য ধরনা করেননি। এখন কেন ?পুলিশ কমিশনারকে কেন বাঁচাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী ? তদন্ত দরকার এই প্রথম দেখলাম পুলিশ কমিশনার বাড়িতে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী লাল ডায়েরি লুকোতে চাইছেন ?কী লুকোতে চাইছেন ? পুলিশ কমিশনার নাকি নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন ?মমতা কাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন ?

এদিন কংগ্রেসকেও একহাত নেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন যে, কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি রাষ্ট্রপতি শাসন চাইছেন। রাহুল গান্ধি মমতাজিকে সমর্থন করছেন। এটা কী ? কংগ্রেসের পিটিশনেই সুপ্রিম কোর্ট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এ কেমন দল ?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!