ফের চিটফান্ড মামলায় সক্রিয় হল সিবিআই, শহর জুড়ে তল্লাশিতে বলেছে প্রভাবশালীদের যোগ কলকাতা রাজ্য July 3, 2019 লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই যেন ফের সক্রিয় হতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বস্তুত, এতদিন সারদা, রোজভ্যালি পর্যন্ত তদন্ত প্রক্রিয়া চালাচ্ছিল সিবিআই। আর এবার এই সমস্ত বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার পাশাপাশি আরও অন্যান্য অনিয়ম করা সংস্থার বিরুদ্ধে জোরকদমে তদন্ত শুরু করতে উদ্যোগী তারা। আর এরই অংশ হিসেবে গত সোমবার নিউল্যান্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ নামে সংস্থার অফিস এবং ডিরেক্টরের বাড়ি সহ মোট 22 টি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। জানা গেছে, সারদা, রোজভ্যালির মতো চিটফান্ড সংস্থাগুলির যখন রমরমা বাজার, ঠিক তখনই এই সংস্থাটি খোলা হয়। অল্প সময়ে বিপুল টাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন স্কিমের মাধ্যমে তারা আমানতকারীদের থেকে টাকা সংগ্রহ করে বলে অভিযোগ। আর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা কোলকাতা থেকে জলপাইগুড়ি পর্যন্ত – তাদের একাধিক অফিস প্রকাশ্যে আসার পরই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। এদিকে হাতের কাছে বিপদ আসছে জেনে রাতারাতি নিজেদের তল্পিতল্পা গুটিয়ে ফেলেন এই কোম্পানির ডিরেক্টররা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা যায়, পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের বাসিন্দা গোপাল রায় এই সংস্থায় প্রায় 1 কোটি 90 লক্ষের বেশি টাকা রাখেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও তিনি তার টাকা ফেরত না পাওয়ায় প্রথমে কোলাঘাট থানায় অভিযোগ করলে পরবর্তীকালে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানা এই নিউল্যান্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ জমা করে। আর এরপরই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গঠিত সিটের কর্তারা এই সংস্থার বিরুদ্ধে তাদের তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করে। কিন্তু এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই চিটফান্ড মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর তারই অঙ্গ হিসেবে সোমবারের এই তল্লাশি প্রক্রিয়া বলে মনে করছে গোয়েন্দা বিভাগ। সিবিআই সূত্রের খবর, তল্লাশি করে এই কোম্পানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্কিমের যে টাকা তোলা হয়েছিল, তার সিংহভাগই পাচার করা হয়েছে বলে উঠে এসেছে। পাশাপাশি এই সংস্থার একাধিক জমিরও খোঁজ মিলেছে। এমনকি এই ঘটনায় অনেক প্রভাবশালীদেরও যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। ফলে সেদিক থেকে তদন্তে নেমে এখন এই চিটফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে নানা প্রমাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে সিবিআইয়ের কাছে কোন কোন প্রভাবশালীর নাম উঠে আসে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -