এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সিবিআই, ইডি, আয়কর হানায় চাপ বাড়ছে বাংলার উপর, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাবের হুঁশিয়ারি মমতার

সিবিআই, ইডি, আয়কর হানায় চাপ বাড়ছে বাংলার উপর, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাবের হুঁশিয়ারি মমতার


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভার নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক আবহাওয়া উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলায়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার ভয়ঙ্কর অভিযোগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ, বাংলায় নির্বাচন আসলেই কেন্দ্রের তরফ থেকে শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা করে তাঁদেরকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এই নিয়েই এবার সরাসরি অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মানুষই এর জবাব দেবে।

প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে বাংলার রাজনীতিতে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে রাজনৈতিক ময়দানে অবতরণ করেছেন তৃণমূল ও বিজেপি। একে অপরকে কোণঠাসা করতে সদাসর্বদাই বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে আসছে। সেরকমই এবার অভিযোগ জানিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পরিষ্কার বলেছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যকে অস্থির করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের বিভিন্ন এজেন্সিকে কাজে লাগাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পর্যন্ত রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করছেন বলে অভিযোগ মমতা ব্যানার্জ্জীর। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বারাণসির জনসভাতেও বাংলা নিয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।

তাই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, এসব করে কোন লাভ হবেনা। সরাসরি তিনি বিজেপিকে নিশানা করে নবান্ন থেকে এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আগামী দিনে মানুষ ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেবে। তাই বদনাম করার চেষ্টা করলেও তাতে কোনই লাভ হবে না। জাতীয় রাজনৈতিক দল  বিজেপির যে এখন প্রধান লক্ষ্য বাংলা দখল সে ব্যাপারে নিঃসন্দেহ মুখ্যমন্ত্রী আর এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে কথা বলতেই তিনি উমফুন এবং পিএম কেয়ার্স ফান্ডের প্রসঙ্গ তুলে কথা বলেন। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাংলায় ভালো কাজ হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের গাত্রদাহ হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে করোনার জন্য 5 হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে দাবী মুখ্যমন্ত্রীর।

কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সে ক্ষেত্রে দিয়েছে 191 কোটি টাকা বলে জানান তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র কয়েকটি ভেন্টিলেটর ছাড়া বাংলাতে কোন কিছুই আসেনি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। আম্ফান ঝড়ে বিধ্বস্ত বাংলাকে কেন্দ্রীয় সরকার এক হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তাও পরে কেটে নেবে কেন্দ্রীয় সরকার বলে এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি আম্ফান ঝড়ে 25000 টাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বলে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন। তবে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যদি কোনরকম গন্ডগোল হয়ে থাকে তাহলে রিভিউ করে সরকারের পক্ষ থেকে সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই প্রসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নিয়ে বলেন ‘পিএম কেয়ার্সে কত লক্ষ কোটি টাকা জমা হয়েছে, আজ পর্যন্ত কেউ জেনেছে? অডিট হয়েছে? ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসাই। যতই জেলে ভরার চেষ্টা কর, আর যতই এজেন্সিকে লাগাও, কিছুই হবে না।’ অন্যদিকে বাংলার মন পেতে সম্প্রতি বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু কিছু বাংলা কথা বলছেন। আর সেই প্রসঙ্গকে তুলে রীতিমতন কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাই টার্গেট গেরুয়া শিবিরের, কারণ বাংলায় ভোট আসছে। প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, টেলিপ্রম্পটার না হয়ে ভাষা অন্তর থেকে বলা উচিত।

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারকে তিনি সম্মান করেন। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে তিনি অনুরোধ করেন, রাজ্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে। বাংলা যে সবসময় এগিয়ে থাকছে সে কথাও বলেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী। আর রীতিমতন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বাংলা গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ নয়। এখানে গুন্ডা পাঠিয়ে অশান্তি করা চলবে না। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্ষেত্রে গুন্ডা বলতে মুখ্যমন্ত্রী আবারো বহিরাগত ইস্যু নিয়ে কথা তুললেন।

প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে এই মুহূর্তে রাজ্যের দায়িত্ব নিয়েছেন 5 কেন্দ্রীয় নেতা। আর তাঁদেরকেই দীর্ঘদিন ধরে বহিরাগত বলে চলেছে শাসক দল। সেই সূত্রে এদিন বাইরে থেকে গুন্ডা পাঠানোর কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে রাজ্যের শাসক দলের বিভিন্ন নেতাকে ইতিমধ্যেই  কখনো সিবিআইয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে, আবার কখনো ইডির সম্মুখীন হতে হয়েছে। সবমিলিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে চাপ বাড়ছে তৃণমূলের ওপর। আর সেই সূত্রেই এবার স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুর চড়ালেন বলে মনে করা হচ্ছে।

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!