এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সিবিআই এর হাতে চার হেভিওয়েট গ্রেফতার হতেই এবার বিজেপি সাংসদের বাড়িতে সিআইডি হানা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেখছে বিজেপি

সিবিআই এর হাতে চার হেভিওয়েট গ্রেফতার হতেই এবার বিজেপি সাংসদের বাড়িতে সিআইডি হানা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেখছে বিজেপি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরই নারদ কান্ডের ফাইল আবার প্রকাশ্যে আসে। যেখানে মন্ত্রিসভা গঠনের কিছুদিনের মধ্যেই নারদ কান্ডে গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমকে। গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। আর এরপর থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করার অভিযোগ তোলা হয় ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে।

তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের একাংশ ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দিতে থাকেন। যেখানে অনেকের পোস্টের মধ্যে দিয়ে উঠে আসে, কেন্দ্রীয় সরকারের সিবিআই যদি তারা ব্যবহার করে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করে, তাহলে রাজ্য সরকারেরও সিআইডি আছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে তৃণমূল যে কিছুটা হলেও প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠবে রাজ্য বিজেপি নেতাদের ক্ষেত্রে, তা সেই পোস্ট থেকেই ধীরে ধীরে আভাস মিলছে শুরু করে।

আর এবার সেই ঘটনাই কি বাস্তব হয়ে গেল? তৃণমূলের চার হেভিওয়েট গ্রেপ্তার হতে না হতেই এবার ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের বাড়িতে পৌঁছে গেল সিআইডি। যাকে কেন্দ্র করে কার্যত সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হওয়ার পরই কেন রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি পৌঁছে গেল বিজেপি সাংসদের বাড়িতে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ।

কিন্তু ঠিক কি কারণে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের বাড়িতে সিআইডি হানা? সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত্রিবেলা অর্জুন সিংহের বাড়ি মজদুর ভবনে সিআইডির একটি প্রতিনিধিদল পৌঁছয়। তবে তখন বিজেপি সাংসদ বাড়িতে না থাকার কারণে তারা বেশ কিছুক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করেন। পরবর্তীতে অর্জুন সিংহের বাড়ির দেওয়ালে একটি নোটিশ লাগিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামী 25 তারিখ বেলা 11 টায় তাকে ভবানী ভবনে হাজিরা দিতে হবে।

স্বাভাবিক ভাবেই সিআইডির পক্ষ থেকে কেন তাকে হাজিরা দিতে বলা হল, এখন তা নিয়ে রীতিমত গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, এই অর্জুন সিংহ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকেই তাকে মানা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু তারপরেও লাভের লাভ কিছু হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে না আসতেই সেই অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি করছেন একাংশ। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ঠিক কি অভিযোগ রয়েছে? কেন তাকে এভাবে জেরা করার জন্য ডেকে পাঠালো সিআইডি? এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট থেকে আমার জন্য রক্ষাকবচ নেওয়া আছে। আমায় ডাকতে পারে। কিন্তু গ্রেপ্তার করতে পারবে না।”

তবে যে কারণেই সিআইডির পক্ষ থেকে জেরা করবার জন্য অর্জুন সিংহকে নোটিশ দেওয়া হোক না কেন, তাকে প্রতিহিংসাপরায়ণ বলেই দাবি করতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, নারদ মামলা নিয়ে সম্প্রতি সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ক এবং এক প্রাক্তন মন্ত্রীকে। আর তারপর থেকেই ক্রমাগত প্রতিহিংসাপরায়ণতার সুর শোনা যাচ্ছে শাসক দলের নেতাদের গলায়।

আর অর্জুন সিংহকে সিআইডির নোটিশের পর তা আরও স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এক্ষেত্রে শুধুমাত্র সিবিআই এবং সিআইডি দুই তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে যদি রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে ময়দানে নেমে পড়ে, তাহলে তদন্তকারী সংস্থার গ্রহণযোগ্যতা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে নারদ কান্ডে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে চার হেভিওয়েট গ্রেপ্তার হতে না হতেই রাজ্যে সক্রিয় হয়ে গেল সিআইডি। এখন রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার ডাকে সাড়া দিয়ে অর্জুন সিংহ কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!