সিবিআই চিটফান্ড নিয়ে তৎপরতা দেখাতেই পুরনো ফাইল বের করে গেরুয়া নেতাদের বিরুদ্ধে অতি তৎপরতা রাজ্য পুলিশের কলকাতা জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য January 3, 2019 রাজনৈতিক চাপ-পাল্টা চাপের খেলা বেশ ভালোই চলছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বনাম বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতে না আসতেই সেই একে অপরের বিরুদ্ধে চাপ দেওয়ার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে একজন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তো আর একজন রাজ্য পুলিশকে ব্যবহার করতে শুরু করে দিল বলে পর্যবেক্ষন রাজনৈতিক মহলের। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সিবিআইকে ‘লেলিয়ে দেওয়ার’ অভিযোগে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এমনকি রাজ্যের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সময় পুলিশ দিয়ে বিজেপির নেতাকর্মীদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও পাল্টা অভিযোগ ওঠে। মাঝে কিছুদিন রাজ্য এবং কেন্দ্রের দুই সরকারেরই এই প্রবণতা বন্ধ ছিল। কিন্তু লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতে না আসতেই ফের নিজেদের আস্তিনে রাখা তাসগুলি বের করতে শুরু করল তৃণমূল ও বিজেপি। জানা গেছে, কিছুদিন আগেই রাজ্যের শাসকদলের তহবিলের হিসেব নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ সুব্রত বক্সীকে সল্টলেকের সিজিও কম্প্লেক্সে দীর্ঘক্ষন ধরে জেরা করে সিবিআই। এমনকি দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনকেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডেকে পাঠিয়েছিল। যদিও বা তিনি সেখানে হাজিরাই দেননি। এদিকে সম্প্রতি রাজ্যের এক হেভিওয়েট পত্রিকা সম্পাদককে, যিনি নাকি শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করা হলে তীব্র অস্বস্তিতে পড়ে শাসক দল বলে জল্পনা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর একের পর এক কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই ভাবে শাসক ঘনিষ্ঠ বা শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের ডেকে কখনও গ্রেপ্তার আবার কখনও বা জেরা করাটাকে বোধহয় খুব একটা ভালো চোখে নিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাইতো এবার রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলার ফাইলগুলো বের করার প্রক্রিয়া শুরু হল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে রাজ্য ও জেলা বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে। যে ঘটনায় কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্য বিজেপি নেতা রনজিৎ মজুমদারকে। আর এবার রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে সেই ঘটনায় নাম জড়ানো রাজ্য বিজেপির অনেককেই জেরা করা হতে পারে বলে খবর – ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট জেলা ও রাজ্যনেতাকে দীর্ঘ জেরা করাও হয়ে গেছে। অনেকেই বলছেন, এ আসলে চাপ – পাল্টা চাপের রাজনীতি। তাই, লোকসভা ভোটের দামামা বাজতে না বাজতেই শাসকদলের হেভিওয়েট নেতাদের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে ডাক পড়তে শুরু করেছে। আর তাতে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়া শাসকদল এবার গেরুয়া শিবিরের দুর্বল জায়গাতেই আঘাত করতে তৎপর হল। তাই তো গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে রাজ্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে করা মামলায় এবার গতি আনতে চাইছে রাজ্য পুলিশ। রাজনৈতিক মহলের মতে, যাঁর বিরুদ্ধে যে মামলায় হোক না কেন, সেই মামলার ভবিষ্যৎ ঠিক কিভাবে এগোয় তা পরিষ্কার হবে আগামী লোকসভা নির্বাচনের পরেই। কেননা লোকসভা নির্বাচনের পর দিল্লির মসনদ ঠিক কার দখলে থাকে তার ওপরই নির্ভর করবে এই মামলাগুলোর ভবিষ্যত। আপনার মতামত জানান -