এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সিবিআই-জুজুই কি মুখ বন্ধ করে রাখছে পিসি-ভাইপোর, জোর জল্পনা

সিবিআই-জুজুই কি মুখ বন্ধ করে রাখছে পিসি-ভাইপোর, জোর জল্পনা


 

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন দেশজুড়ে লাগু হবার পর থেকেই তার বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে যেখানে বিজেপি বিরোধী দলগুলো ক্ষমতায় রয়েছে সেখানকার নেতা-নেত্রীরা এই আইন বাতিলের দাবিতে সরব হয়েছেন।

পাশাপাশি এই আইনের বিরুদ্ধে বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা। তবে এই পরিস্থিতিতে কিছুটা ব্যতিক্রমী ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের বর্তমান রাজনৈতিক দল সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেতৃত্বদের। লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপিকে হঠাতে এই দুই রাজনৈতিক দলের প্রধান আখিলেশ যাদব এবং মায়াবতী মিলে ময়দানে নেমেছিলেন।

কিন্তু বর্তমানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিপক্ষে যখন জোর আওয়াজ তুলছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো, তখন উত্তরপ্রদেশের এই দুই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা কেন ময়দানে নামছেন না! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে একাংশ। তবে এর কারণ হিসেবে মাটি খুড়তে গিয়ে কেঁচোর বদলে কেউটে বেরিয়ে পড়ল। জানা গেছে, সম্প্রতি যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য জমি কেনায় অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

আর এই ঘটনায় নাম রয়েছে মায়াবতী এবং অখিলেশের। যার ফলে বিজেপির বিরোধিতা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন তারা বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আর তাইতো বিভিন্ন সময়ে এই দুই রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করতে দেখা গেলেও, বর্তমান সময়ে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা যাচ্ছে না তাদের।

অনেকে বলছেন, বর্তমানে দেশে চরম বিজেপি বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়েছে বলে মাঝেমধ্যেই দাবি করতে দেখা যেত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরোধিতায় তার প্রতিবাদকে স্তব্ধ করে রাখেননি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেক্ষেত্রে সত্যিই কি তাহলে উত্তরপ্রদেশের মায়াবতী এবং অখিলেশ যাদব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত! আর তাই সিবিআইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিজেপি বিরোধীতায় এই ইস্যুটিকে নিজেদের রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেও গ্রহণ করছেন না তারা! এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।

এদিকে মায়াবতী এবং অখিলেশের উত্তরপ্রদেশে বিজেপি বিরোধিতায় ময়দান ছেড়ে দেওয়ায় পাল্টা ময়দানে নেমেছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ জুড়ে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে।যা নিঃসন্দেহে বিজেপি বিরোধিতায় এতদিন সুর চড়ানো সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টিকে অনেকটাই পিছিয়ে দিচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

এই প্রসঙ্গে সপা এবং বসপাকে কটাক্ষ করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, “অন্য বিপক্ষ দলগুলো কি করছে! তারা কি ভয় পাচ্ছে!” পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টির অনেক নেতাদের মুখে এই ব্যাপারে শোনা গেছে আক্ষেপের সুর। বিজেপি বিরোধিতায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে পথে নামলে হয়ত বা অনেকটাই ভালো হত বলে মনে করছেন তারা। কিন্তু দলের শীর্ষনেতা পথে না নামলে তারা কি করে পথে নামতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

ফলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা এক কথায় স্পষ্ট যে, দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে গিয়েছে সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টির। আর তাই তো বিজেপি বিরোধিতায় মোক্ষম অস্ত্র তারা কার্যত গৃহবন্দি হয়ে নীরবে-নিভৃতে রয়েছেন। যা নিঃসন্দেহে সেই সমাজবাদী এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টিকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!