এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজীব কুমারেই শেষ নয়, চিটফান্ড কাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের নজরে রাজ্যের দুই হাই প্রোফাইল পুলিশ অফিসার ও এক হেভিওয়েট আমলা

রাজীব কুমারেই শেষ নয়, চিটফান্ড কাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের নজরে রাজ্যের দুই হাই প্রোফাইল পুলিশ অফিসার ও এক হেভিওয়েট আমলা

চিটফান্ড কাণ্ডে রাজ্য সরকারের গঠিত সিটের প্রধান তথা অধুনা কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে চিটফান্ড কাণ্ডে সিবিআইয়ের জেরা নিয়ে আপাতত তুলকালাম রাজ্য-রাজনীতিতে। এর আগে, রাজীব কুমারকে সিবিআই তিন-তিনবার শমন পাঠালেও তিনি তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হন নি। ফলে সিবিআইয়ের একটি ৪০ সদস্যের টীম তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হলে, সিবিআই আধিকারিকদের কার্যত ঘাড় ধরে ও চ্যাংদোলা করে আটক করে কলকাতা পুলিশ। গণতন্ত্র লুন্ঠিত হচ্ছে অভিযোগে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনকি, এই ইস্যুতে ধর্মতলায় তিনি ধর্নাতেও বসে যান। যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে গেলে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দেয় রাজ্যের বাইরে মেঘালয়ের শিলংয়ে রাজীব কুমারকে জেরা করতে পারে সিবিআই। গতকাল থেকেই চলছে সেই জেরা পর্ব। কিন্তু, শুধু রাজীব কুমারকে জেরার মধ্যেই থেমে থাকতে রাজি নয় সিবিআই। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের গঠিত সিটে তদন্তের দায়িত্বে থাকা দুই হাই প্রোফাইল পুলিশ কর্তা ও রাজ্যের এক হেভিওয়েট আমলাও এবার সিবিআইয়ের নজরে। যে কোন দিন তাঁদেরকেও জেরা করতে পারে সিবিআই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, রাজ্যের ওই হেভিওয়েট আমলা ইতিমধ্যেই নাকি শারীরিক অসুস্থতার কারণে পদত্যাগ করতে চেয়েছেন। এই মর্মে সরকারিভাবে কিছু জানা না গেলেও, ইতিমধ্যেই সেই খবর বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তবে, এই খবরের সত্যতা প্রিয় বন্ধু মিডিয়া যাচাই করে দেখতে পারে নি। এই প্রসঙ্গে যা জানা গেছে, চিটফান্ড কাণ্ডে আর্থিক দুর্নীতি নয়, বরং সিটের তদন্তের সময় এঁদের তিনজনের ভূমিকা নিয়েই সিবিআই প্রশ্নমালা সাজাচ্ছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল – সুদীপ্ত সেন বা দেবযানী মুখোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর সরদার অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন নথি নিয়ে ভূমিকা।

সিবিআইয়ের দাবি, সিটের হাতে যে এফআইআর এসেছিল, তা তাঁরা পেয়েছেন। কিন্তু এর বাইরেও আরও অনেক এফআইআর করা হয়েছিল, সেগুলি সিটের কাছে পাঠানো হয়নি বা সিটের অফিসারেরা সেগুলি খোঁজ নিয়ে দেখেননি। বিভিন্ন চিটফান্ড সংস্থায় একাধিকবার তল্লাশি হয়েছে, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি। কিন্তু এর অনেকটাই সিবিআই হাতে পায়নি। আর যা দেওয়া হয়েছে, তাতে অনেক জায়গায় ফাঁক রয়েছে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, সংস্থার ডিরেক্টরদের কল ডিটেলসের অনেক নথিও পুরোপুরি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় নি। অনেক নথি এতটাই অস্পষ্ট যে, পড়ে উদ্ধার করা যাচ্ছে না, ঠিকমতো সংরক্ষণ না হওয়ার কারণেই এসব ঘটেছে। কার নির্দেশে এইভাবে সংরক্ষণে গাফিলতি তা খতিয়ে দেখায় এই জেরার মূল কারণ হতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!