‘যে কোনও প্রযুক্তিতে পারদর্শী’ রাজীব কুমারের জন্য বিশেষ ‘চক্রব্যূহ’ রচনা সিবিআইয়ের কলকাতা জাতীয় রাজ্য September 19, 2019 অনেকদিন ধরেই রাজীব কুমারকে নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি চলছে। কিন্তু আর নয়, এবার কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল রাজীব কুমার মামলার তদন্তের খুঁটিনাটি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিল সিবিআইয়ের সদর দপ্তর। শুধু তাই নয়, যে কোনও ধরনের প্রযুক্তিতে পারদর্শী রাজীব কুমারের সঙ্গে পাল্লা দিতে বিশেষজ্ঞ টেকনিক্যাল টিমও এসেছে শহরে। ফলে সবদিক থেকেই এবার সেই রাজীব কুমারকে ঘিরে ধরতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে রাজীব কুমার কেন একাধিক ফোন নম্বর ব্যবহার করতেন, তা নিয়েও খোঁজখবর শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবারই রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছে বারাসত জেলা দায়রা আদালত। আর এরপরই তা আলিপুর জেলা জজের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, আজ বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা। অন্যদিকে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার শুনানি যাতে একতরফাভাবে না হয়, তারজন্য বুধবারই আলিপুর এসিজেএমের কাছে এই আবেদন জমা পড়েছে। তবে যদি রাজীব কুমার না আসেন, তাহলে তাকে পাওয়া যাবে কি করে! বিভিন্ন মহলে এই প্রশ্ন উঠলেও তার উপর গুরুত্ব দিতে নারাজ তদন্তকারীরা। কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের উপর চাপ বাড়াতেই ইতিমধ্যেই তার একাধিক নম্বর সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে তদন্তকারী সংস্থার এক কর্তা বলেন, “সরকারিভাবে অফিসারদের একটি মোবাইল নম্বর থাকে। যার খরচ দেয় প্রশাসন। এরজন্য অর্থ দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হয়। এই নম্বর সরকারিভাবে বিভিন্ন জায়গায় নথিভুক্ত থাকে। ফলে ওই নম্বরেই যোগাযোগ করেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। যদি কেউ একাধিক মোবাইল ব্যবহার করেন, তার খরচ সংশ্লিষ্ট অফিসারকেই বহন করতে হয়।” সূত্রের খবর, রাজীব কুমারের একাধিক নম্বর প্রশাসনের অনেকেই জানতেন। তাঁরা ওইসব নম্বরে মাঝেমধ্যে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। যার প্রমাণ হাতে পাওয়া গেছে। এমনকী বিশেষ একটি নম্বরে দু’-একজন নাকি তাঁর সঙ্গে কথাও বলতেন। অথচ প্রশাসনের কাছে যখন তাঁর মোবাইল নম্বরের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়, তখন একটি নম্বরের কথাই বলা হয়। এমনকী সেটি বন্ধ বলেও জানানো হয়। অথচ তিনি যে একাধিক নম্বর ব্যবহার করেন, তা প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের অনেকেই জানতেন। যা খাতায়কলমে নথিভুক্ত ছিল বলে জেনেছে সিবিআই। তারপরেও কেন তা দেওয়া হল না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জানা গেছে, এদিনই সিবিআই রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করতে চাইলেও রেকর্ড না আসায় তা সম্ভব হয়নি। যার ফলে চরম বিরক্ত তদন্তকারী অফিসাররা। তাঁদের দাবি, আমাদের সঙ্গে অসহযোগিতা করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে যে কোনো পদ্ধতিতে এবার কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে সবদিক থেকে ঘিরে ধরতে তৈরি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আপনার মতামত জানান -