নারদ কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ সিবিআইয়ের – ‘ভয়েস রেকর্ড’ সম্পন্ন আরও দুই প্রভাবশালীর কলকাতা রাজ্য September 3, 2019 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদা স্টিং অপারেশনের ভিডিও সামনে এলে দেখা গিয়েছিল একাধিক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। যদিও সেই ভিডিও ফুটেজের সত্যতা প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয় নি। কিন্তু, সেই স্টিং অপারেশনের ভিডিওর ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্ট নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, সেই তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই নাকি একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এসেছে। এবার সিবিআই নারদ কাণ্ডে তদন্তের প্রায় শেষ সীমায় পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে এদিন নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর কাছে হাজিরা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও আইপিএস এসএমএইচ মির্জা। এদিন সিবিআই যে চারজনকে তলব করে, তারা হলেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার ও এসএমএইচ মির্জা। এদিন অপরূপা পোদ্দার অবশ্য নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে আসেননি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আগেই সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছিল, স্টিং অপারেশনের ফুটেজে যাদের ভয়েস পাওয়া গেছে, তাদের ভয়েস রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে। এর আগে মুকুল রায়ের ভয়েস রেকর্ড হয়েছে, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিন পাতা পড়তে দেওয়া হয় সিবিআই-এর তরফ থেকে। এভাবেই বস্তুত ভয়েস রেকর্ড প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সিবিআই-এর তলব পান সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়ও, কিন্তু তিনি উপস্থিত হননি। এরপর আজ সিবিআইয়ের তরফে ভয়েস রেকর্ডের জন্য ডাকা হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার ও এসএমএইচ মির্জাকে। সুব্রত মুখোপাধ্যায়, এসএমএইচ মির্জা সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিলেও, অপরূপাদেবী শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সিবিআইতে আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে তিনি মেডিকেল রিপোর্ট সিবিআই দপ্তরে জমা দেবেন বলেও জানিয়েছেন। এমনিতেই নারদ মামলায় একাধিক হেভিওয়েটের নাম জড়িত থাকায় এই মামলা অতি-সংবেদনশীল গুরুত্ত্ব পেয়েছে। তার উপরে রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণে, বিশেষ করে বিজেপি-তৃণমূল সম্পর্কের জেরে তা আরও সংবেদনশীল হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর তাই, অতি সাবধানে আইনের সবরকম ফাঁকফোকর ভরাট করেই এবার চার্জশীট দাখিলের পথে হাঁটতে চান তদন্তকারী অফিসাররা বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তাই এবার ডাক পড়ছে একের পর এক প্রভাবশালীর বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। আপনার মতামত জানান -