এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিলেন তৃণমূল সাংসদ এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, জোর জল্পনা

সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিলেন তৃণমূল সাংসদ এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, জোর জল্পনা

2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদা স্টিং অপারেশনের ভিডিও সামনে এলে দেখা গিয়েছিল একাধিক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। যদিও সেই ভিডিও ফুটেজের সত্যতা প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয় নি। কিন্তু, সেই স্টিং অপারেশনের ভিডিওর ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্ট নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, সেই তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই নাকি একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এসেছে।

আর আজ নারদ স্টিং কাণ্ডে ভয়েস রেকর্ডিংয়ের জন্য সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। জানা গিয়েছে, দু’জন সাক্ষীর সামনে বসিয়ে দুই নেতার ভয়েস রেকর্ড করেন তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, নারদ কাণ্ডে গত সপ্তাহেই সিবিআই দপ্তরে হাজিরা হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক মির্জা। তাঁদেরও ভয়েস রেকর্ড করেন তদন্তকারীরা বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, স্টিং অপারেশনে অভিযুক্ত ১১ বিধায়ক ও সাংসদকে সমন পাঠায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। যেখানে নাম রয়েছে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, অপরূপা পোদ্দার, সৌগত রায়ের। রয়েছেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নামও। তাঁদের প্রত্যেককে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এবার সিবিআই নারদ কাণ্ডে তদন্তের প্রায় শেষ সীমায় পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।এমনিতেই নারদ মামলায় একাধিক হেভিওয়েটের নাম জড়িত থাকায় এই মামলা অতি-সংবেদনশীল গুরুত্ত্ব পেয়েছে। তার উপরে রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণে, বিশেষ করে বিজেপি-তৃণমূল সম্পর্কের জেরে তা আরও সংবেদনশীল হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর তাই, অতি সাবধানে আইনের সবরকম ফাঁকফোকর ভরাট করেই এবার চার্জশীট দাখিলের পথে হাঁটতে চান তদন্তকারী অফিসাররা বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তাই এবার ডাক পড়ছে একের পর এক প্রভাবশালীর বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!