সিবিআইয়ের বড়সড় পদক্ষেপ নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে তরজা তৃণমূল ও বিজেপির কলকাতা তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য February 23, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রুজিরা নারুলা বন্দোপাধ্যায়কে জেরা করা নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। ক্রমশ তরজা বাড়ছে তৃণমূল এবং গেরুয়া শিবিরের। একদিকে যেমন তৃণমূলের দাবি, ভোটের আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগাচ্ছে গেরুয়া শিবির, ঠিক সেভাবেই গেরুয়া শিবিরের দাবি ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে শাসকদলের আমলে। এবার সমস্ত প্রমাণ সহযোগে সিবিআই তদন্ত চালাবে। প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে কয়লা পাচার চক্র এবং গরু পাচার চক্র নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিবিআই এবং ইডির মতো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরপর রাজনৈতিক আলোচনা তুঙ্গে ওঠে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর বোনকে সিবিআই এর তরফ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়। সেই অনুযায়ী গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর শ্যালিকাকে জেরা করেছে সিবিআই। এবং আজকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে আট আধিকারিক বিশিষ্ট সিবিআই দল রুজিরা নারুলা বন্দোপাধ্যায়কে জেরা করেন দীর্ঘক্ষণ ধরে। অন্যদিকে সিবিআই আধিকারিকরা পৌঁছানোর আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ দিনভর তাই নিয়ে চর্চা হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর স্ত্রীকে সিবিআই এর নোটিশ এবং জিজ্ঞাসাবাদ শাসকদল তৃণমূল যে ভালোমতন মেনে নিচ্ছেনা, সে কথা পরিষ্কার। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এর পরিপ্রেক্ষিতে দাবি করা হচ্ছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পরিকল্পনা অনুযায়ী বিজেপি সিবিআই এবং ইডির মতন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছে বিরোধীদের কোণঠাসা করতে। আর এরই পাল্টা জবাবে শোভন চট্টোপাধ্যায় এদিন একহাত নিলেন রাজ্য সরকারকে তথা তৃণমূল শিবিরকে। শোভন চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, সরকার থেকে তৃণমূল বিরোধীদের প্রতিহত করার জন্য বিভিন্ন ভাবে পুলিশকে ব্যবহার করেছে, দুর্নীতি চালিয়েছে। পাশাপাশি শোভন চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, সিবিআই প্রত্যেকটি কাজের প্রমাণ নিয়ে, পদ্ধতি মেনে কাজ করে। সিবিআই এর হাতে যা যা তথ্য উঠে এসেছে তার ভিত্তিতে আগামী দিনে সিবিআই কাজ করবে। যথারীতি হঠাৎ করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপ নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা সব মহলেই। পাশাপাশি দুর্নীতি নিয়ে যেভাবে বিরোধীরা এতদিন ধরে শাসকদলের বিরুদ্ধে বলে এসেছে সিবিআইয়ের পদক্ষেপ সে দাবীর সত্যতার দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আপাতত দেখার, সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বড়সড় কোন পরিবর্তন আনতে পারে কিনা! আপনার মতামত জানান -