মনোনয়নে শাসকদলের ‘তান্ডব’ এবার সিসিটিভি ফুটেজে, বাড়ছে উত্তাপ বিশেষ খবর রাজ্য April 9, 2018 রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র পেশের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্ধমান জেলা জুড়ে উত্তেজনা ছড়ালো। শাসক দল ও বিরোধীদলের মধ্যে একে অন্যের বিরুদ্ধে নালিশ করার ধারা ও বজায় আছে। পুলিশ এই ঘটনায় সন্দেহজনক ব্যক্তিদের গ্রেফতার করেছে। জেলার মহকুমা শাসকের অফিসের বাইরে কী হয়েছে সে ঘটনা অতটা উত্তেজক না হলেও বিরোধীরা দাবি করেছে মহকুমা শাসকের অফিসের ভিতর তৃণমূলের নেতারা তান্ডব চালিয়েছেন। একটি ভিডিও ফুটেজও ব্যাপক হারে সারা জেলায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও শাসকদলের নেতারা এই ভিডিও ফুটেজের বাস্তবতা অস্বীকার করেছেন। তবে বিশেষ সূত্রে সংগ্রহীত একটি ভিডিও ফুটেজে লক্ষ্য করা গিয়েছে, শনিবার তৃণমূলের নেতারা মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসা বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের টেনে হিঁচড়ে বের করে দিচ্ছেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে বিরোধীদের কাছ থেকে তাদের কাগজপত্র কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, সাথে রয়েছে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার ও মারধর। মহকুমা শাসকের অফিসের ভিতরই পুরো ঘটনাটা ঘটেছে। একথা আগাগোড়াই অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত। এই ভিডিও ফুটেজে প্রথম সারিতে উত্তম সেনগুপ্ত সহ বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান খোকন দাস এবং অন্য নেতাদেরও দেখতে পাওয়া গেছে। উত্তম সেনগুপ্ত এবারের নির্বাচনে জেলা পরিষদের প্রার্থী। এদিনের গোলমালের বিষয়ে উত্তম বাবু প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, “বাইরে ঝামেলা হয়েছে। তবে ভিতরে কী হয়েছে বলতে পারব না।” ভিডিও ফুটেজের প্রথম সারিতে তাঁর অবস্থান নিয়ে সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে চাও্য়া হলে তিনি বললেন, ” তিনি বলেন, আমি এবারের প্রার্থী। তাই নির্বাচনী কাজের জন্যই মহকুমা শাসকের অফিসে যেতে হয়েছিল। এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।” এদিনের হিংসার ঘটনা সহ ভিডিও ফুটেজ প্রসঙ্গে বর্ধমানের জেলার সিপিএম সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক বললেন, “শাসকদল শনিবার মহকুমা শাসকের অফিসের ভিতরও তান্ডব করে।ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টে এই ঘটনায় আমাদের ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা আর মহকুমা শাসকের অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে যাব না।” এই বিষয়ে বিজেপির সম্পাদক সন্দীপ নন্দী ও রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সিপিএমের অভিযোগকে সমর্থন করেছেন। আপনার মতামত জানান -