কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বামেদের ডাকা বনধ আটকালো তৃণমূল, পাশে গেল রাজ্য বিজেপিকে – ফায়দা তুলবে কি বামফ্রন্ট? জাতীয় রাজ্য January 10, 2019 বিজেপি বিরোধিতায় কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সাড়া দিয়ে সারা দেশে দু দিনের ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। কিন্তু প্রবল বিজেপি বিরোধী হলেও রাজ্যে সেই বামেদের ডাকা বনধকে ব্যর্থ করার জন্য সক্রিয় ছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। যা নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসকে “বিজেপির সঙ্গে আঁতাত রয়েছে” বলে কটাক্ষও করেছে বামফ্রন্ট। অন্যদিকে রাজ্যে এই বনধকে আটকাতে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সক্রিয় ভূমিকা অবলম্বন করা হলে সেই রাজ্যের শাসকদলের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল প্রবল বিরোধী বিজেপিকেও। আর এই ভাবে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোয় বামেদের পক্ষ থেকে সেই কেন্দ্র এবং রাজ্যের শাসক দলের উদ্দেশ্যে প্রবল খোঁচা দেওয়া শুরু হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতাদের দাবি, আসলে উপরে উপরে যতই বিরোধিতা দেখাক না কেন, কেন্দ্রের মোদি সরকারের সাথে একটি সমঝোতা রয়েছে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর তাইতো প্রকাশ্যে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ডাকা এই বনধকে ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তিনি। একাংশের মতে, এই ভাবেই হয়ত ফের রাজ্য রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে বামেরা। কেননা একদিকে সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে কটাক্ষ, আর অন্যদিকে রাজ্যের শাসক দলকে সেই বিজেপিরই বি টিম বলে রাজ্যের মানুষের মন পেতে মরিয়া বাম নেতারা। তবে আদৌ কি রাজ্য এবং কেন্দ্রের শাসকদলের সমঝোতার ব্যাপারটি প্রকাশ্যে এনে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে পারবে বামফ্রন্ট? বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের ভোটবাক্স খোলার পরই। আর ততক্ষণ আমাদের নজর থাকবে রাজ্য রাজনীতির এই জমজমাট মুহূর্তের দিকে। আপনার মতামত জানান -